বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayet Election) সামনে রেখে জনসংযোগ কর্মসূচি। মে ও জুন মাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরবে সিপিএম (CPIM)। সিপিএমের এই কর্মসূচিকে আমল দিতে চাইছে না তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)।


জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোর: বিধানসভা ভোটে রাজ্যে শূন্যে নেমে গেলেও, গত পুরভোটে নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা দখল করে চমক দিয়েছে সিপিএম। পাশাপাশি বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। এই প্রেক্ষাপটে এবার ২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ বাড়াতে রাস্তায় নামছে সিপিএম। মে-জুন মাস রাজ্য জুড়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  লক্ষ্য, সাধারণ মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা।


সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “মে-জুন ধরে পরিবারের কাছে যেতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের অপদার্থতা মানুষকে জানানো হবে। যারা সরে গেছেন, দূরে গেছেন তাদের কাছেও যাব।’’ বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF-এর সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল বামেরা। কিন্তু পরের পুরভোটে একাই লড়াই করেছে তারা। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে? এ নিয়ে অবশ্য এখনই ভাবতে নারাজ সিপিএম। এবিষয়ে মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “নদীর ধারে যাও তারপরে ঠিক করে নদীটা কীভাবে পার করবে। সেখানে ব্রিজ আছে কিনা, ফেরি আছে কি না, আমাদের বাহিনীকে সাজাব, লুঠ করতে দেব না।’’


জনসংযোগে সিপিএম, যা নিয়ে তুঙ্গে তরজা। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল সিপিএমকে যতই অক্সিজেন দিক না কেন তৃণমূলের পথে চেষ্টা করছে সিপিএম। সিপিএমের পথে চলছে তৃণমূল। দুই দলের থেকেই পরিত্রাণ চাইছে রাজ্যবাসী।‘’ মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “ওদের মধ্যে কে দ্বিতীয়, তৃতীয় হবে সেই নিয়ে লড়াই চলছে। সিপিএম বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে, উঠে দাঁড়াতে পারবে না। বিজেপি তাসের ঘরের মতো ভাঙছে।’’ পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সিপিএমের এই জনসংযোগ কর্মসূচি ভোটবাক্সে কি প্রভাব ফেলবে? উত্তর মিলবে ভোটের ফল বেরনোর পরেই।


আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: ৪০ দিনের লড়াই শেষ, প্রয়াত বগটুইয়ে অগ্নিদগ্ধ আতাহারা বিবি, মৃত বেড়ে ১০