কলকাতা: এবার পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তীকে (Panihati Councilor Threat) হুমকি ফোনের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ বিদেশী নম্বর থেকে ফোন করে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে। শুধু তাঁকেই নয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে পানিহাটির বিধায়ক ও তাঁর ছেলেকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
পানিহাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ১১ সংখ্যার বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সামনে নির্বাচন চুপচাপ থাকুন। রাজনীতি থেকেও নিষ্ক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে। কাউন্সিলরকে ফোনের মাধ্যমে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও তাঁর ছেলে তীর্থঙ্কর ঘোষকে হুমকি। নির্মল ঘোষ ও তাঁর ছেলেকে ব্রিজে ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তী বলছেন, "আমাকে বারবার জোর করা হয়, র নিউজ় বলে একটি ফেসবুক পেজে সেকেন্ড কনটেন্টে আমাকে নিয়ে লেখা রয়েছে। সেটা পড়তে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। আমি তারপর ওদের পেজে ঢুকে সেকেন্ড কনটেন্টটা দেখি আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রছন্ন হুমকি। আপনার স্ত্রী অমুক জায়গায়, অমুক পোস্টে কাজ করে তো! মা অমুক জায়গায় আছে তো! কোনটা করবেন বেছে নিন। জুতোর তলায় থাকবেন কিনা। আমরা ১৫টা খুন করেছি। এসব ওখানে লেখা আছে। যাঁরা করেছে তাঁরা কোনও দলেরই হতে পারে না। তাঁরা দুষ্কৃতী। তিলোত্তমা প্রসঙ্গে এনে যে কথা বলা হচ্ছে তাতে হয়ত তিলোত্তমার প্রতি মানুষের যা সহানুভূতি তা ম্লান করছে। আপনি তিলোত্তমার সময় সাড়ে ৭ মাস চুপ ছিলেন। এখনও থাকবেন। আমরা যা করব দেখবেন। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও তাঁর ছেলে তীর্থঙ্কর ঘোষকে ব্রিজে ঝুলিয়ে দেব। আমাকে বলা হয়েছে রাজনীতি করবেন না। দল ছাড়তে বলছি না। কিন্তু আমাদের মধ্যে আসবেন না। রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হতে বলছে।''
এদিকে অমরাবতি মাঠ বিতর্কের জেরে, চাপে পড়ে শেষমেশ পদত্যাগ করেছেন মলয় রায়। তাঁর জায়গায় উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোমনাথ দে-কে। কিন্তু, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। যাঁরা মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর, তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করার জন্য প্রথম থেকেই এই তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দেকেই দায়ী করছেন। আর এত বিতর্কের পর তাঁকেই পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্য়ান করল তৃণমূল।