অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: বারবার সচেতন করা হয় ব্যাঙ্কের তরফে। সচেতনতার প্রচার করে জেলা প্রশাসনও। তারপরেও বারবার শোনা যায় ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থেকেও শোনা গেল এমন ঘটনা। প্রতারণার শিকার হলেন দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী। 


কী ঘটনা:
ওটিপি শেয়ার করেছিলেন ওই কর্মী। তা করার পরেই ২টি অ্য়াকাউন্ট থেকে ৯ দফায় উধাও হয়ে যায় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। এই ঘটনার পরে দাঁতন থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী।


কোথায় ফাঁদ:
অচেনা নম্বর থেকে কেউ ফোন করে কোনও অ্য়াপ ডাউনলোড করতে বলছে? কিংবা ওটিপি চাইছে? তা হলেই সতর্ক হতে হবে। কারণ এভাবেই ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। ঠিক এমনই এক প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা খুইয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্য়কর্মী। লোপাট যাওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৯০ হাজার টাকা।


ওই ব্যক্তির নাম দেবব্রত পড়্যা। তিনি বলেন, 'ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখি, ৪৭ টাকা ২১ টাকা পড়ে রয়েঠে। ৯০ হাজারের কাছাকাছি লোপাট হয়ে গিয়েছে।' দেবব্রত পড়্যা নামে ওই স্বাস্থ্য়কর্মী জানিয়েছেন, স্টেট ব্য়াঙ্কের দাঁতন শাখায়, তাঁর ও স্ত্রীর নামে ২ টি অ্য়াকাউন্ট রয়েছে। ২টি অ্য়াকাউন্টেই রয়েছে ক্রেডিট কার্ড। এরইমধ্যে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ, তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, স্বাস্থ্যকর্মী এই দুই অ্য়াকাউন্টের ক্রেডিট কার্ড দুটি রাখতে চান কিনা। স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি, তিনি ডি-অ্য়াক্টিভেট করে দিতে চাইলে, তাঁকে একটি অ্য়াপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোনে আসতে থাকে একের পর এক ওটিপি। সেই ওটিপি শেয়ার করতেই ২টি অ্য়াকাউন্ট থেকে ৯ দফায় উধাও হয়ে যায় মোট ৮৯ হাজার ৮২৮ টাকা। 


ঠিক কী ঘটেছিল:
দেবব্রত পড়্যা বলেন, 'বলল আমি ক্রেডিট কার্ড ডিপার্টমেন্ট থেকে ফোন করছি। আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্য়বহার করেন না? বললাম ওটা তো বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর বলল দাঁড়ান দেখছি। একটু পরে বলল অ্য়াক্টিভ রয়েছে। শুধুশুধু টাকা কাটছে। বলল একটু পরে ফোন করে বন্ধ করে দেব। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, বলবেন, নিজেই বন্ধ করতে চান। বলল কোনও মেসেজ গিয়েছে? বলল, আপনি একটা অ্য়াপ খুলে ওটা ক্লিক করলেই বন্ধ হয়ে যাবে। হোয়াটস অ্য়াপে পাঠায়। খোলার পরই ওটিপি যায়। একটার পর একটা ওটিপি চায়। আমি দিতে থাকি। বলল ছবি তুলে পাঠান। যখন এটিএমে যাই, দেখি ২ টো অ্য়াকাউন্টেই আন সাফিসিয়েন্ট ব্য়ালেন্স দেখাচ্ছে।'


বৃহস্পতিবার রাতেই দাঁতন থানায় অভিযোগ জানিয়েছন স্বাস্থ্যকর্মী। থানার তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: 'কোনও দলের ক্ষমতা থাকলে প্রার্থী দিতে পারে', অনুব্রত-গড়ে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার