পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে, কলকাতা : গত এক সপ্তাহের মধ্যে বাজি-বিস্ফোরণে হারিয়েছে ১৪ টি প্রাণ। এগরা, বজবজের জোড়া দুর্ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে। যার পরই বেআইনি বাজির (Illegal Crackers) বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে অভিযান। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। হাজার হাজার কেজি বাজি উদ্ধার। বজবজে বেআইনিভাবে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে ৩টি প্রাণ ঝরে যাওয়ার পর অবশেষে সক্রিয় পুলিশ (Police)। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে যেতে গিয়ে দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হল এবিপি আনন্দর প্রতিনিধিদের।
এগরার পর বজবজেও ফের বেআইনিভাবে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণ। বজবজে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর পর অবশেষে সক্রিয় পুলিশ। আর সেখানেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দফায় দফায় বাধার মুখে পড়ল এবিপি আনন্দ। ব্যাপক অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নিষিদ্ধ বাজি রুখতে মাইকে সচেতনতা প্রচারও চালাল পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমানে একমাত্র গ্রিন বাজিই বৈধ। পশ্চিমবঙ্গে গ্রিন বাজির আওয়াজ ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে হতে হয়। অন্য রাজ্য়ের ক্ষেত্রে গ্রিন বাজির শব্দ ১২০ ডেসিবেল। গ্রিন বাজিতে কী ধরনের মশলা ব্যবহার করা যাবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের। ১৫ কেজি পর্যন্ত মশলা দিয়ে বাজি তৈরি করতে হলে, জেলা শাসকের থেকে অনুমতি নিতে হয়। ৫০০ কেজি পর্যন্ত মশলার বাজি তৈরি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কম্পট্রোলার অফ এক্সপ্লোসিভের অনুমতি লাগে। তার বেশি পরিমাণ বাজি তৈরির ক্ষেত্রে, অনুমতি নিতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের চিফ কম্পট্রোলার অফ এক্সপ্লোসিভের।
আরও পড়ুন- অবশেষে হুঁশ ফিরল সরকারের! বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে ক্লাস্টার তৈরির ভাবনা
কিন্তু, এগরা থেকে বজবজ, বারবার প্রশ্ন একটাই উঠছে, এই নিয়ম ভাঙা হচ্ছে কেন ? উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান ও ধরপাকড়ের মাঝে খবর করতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে এবিপি আনন্দকে। ব্যবয়াসীদের বাধা ঠেলে এগোতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ মিটার দূরেই আটকে দেওয়া হয় এবিপি আনন্দকে।
আরও পড়ুন: Hand Writing: আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?