খেজুরি : মুখে প্রতিহিংসার কথা না বলেও বিজেপি কর্মীদের তালিকা তৈরি করতে বললেন কুণাল ঘোষ। খেজুরিতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। 'বিজেপির কারা কারা সমস্ত সুবিধা পাওয়ার পরেও, তৃণমূলের উপর হামলা করেছে তার তালিকা তৈরি রাখুন। কতদিন চৈতন্যদেব সেজে থাকব ?' বলে খেজুরির সভায় হুঙ্কার দিলেন কুণাল। এদিকে তমলুক, কাঁথিতে হেরে প্রকল্প বন্ধের হুঁশিয়ারি মন্ত্রী শিউলি সাহারও।


এদিন কুণাল বলেন, "বিজেপির কারা কারা সমস্ত সুবিধা পাওয়ার পরেও, তৃণমূলের উপর হামলা করেছে তার তালিকা তৈরি রাখুন। আমরা চাই না কোনও প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যবস্থা । কিন্তু, লিস্ট দুটো জায়গায় যাবে। একটা যাবে পুলিশের কাছে আইনি ব্যবস্থা জন্য। আর একটা যাবে, মন্ত্রীদের কাছে-শিউলিদিদের কাছে। এই রইল লিস্ট। যদি লাগামছাড়া অসভ্যতা হয়, এই ঠিকানাগুলোতে যেন সরকারের কোনও স্কিম গিয়ে না পৌঁছয় এর দায়িত্ব নিতে হবে আপনাদের। কতদিন চৈতন্যদেব সেজে থাকব ? এত বড় সাহস। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে, খেজুরির উপর, বাংলার কোনও প্রান্তে তারা চমকে যাবে দিনের পর দিন, আর আমরা শান্তিরক্ষার নামে সরকারে থাকার দায়বদ্ধতায়...আমরা হাত গুটিয়ে সেগুলো সহ্য করব...এগুলো কী করে হবে ? কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। কারও নাম যেন ওরা মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ওরা সুযোগ না পায়। হামলা , অসভ্যতা, চাষবাস বন্ধ, কৃষকের কাজকর্ম বন্ধ যদি না করে সেক্ষেত্রে বিধায়েকর, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের, মন্ত্রীর সইতে গন্ডগোল হবে কোনও কোনও ঠিকানায়। ফর্মে ভুল বেরোবে। বুঝবেন তখন। আপনি মারবেন, আর সেই ফর্মে সই করবে যত্ন করে সেটা তো হবে না।"


অন্যদিকে শিউলি সাহা বলেন, "পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী হিসাবে আমি একটা পরিসংখ্যান বলতে চাই আমার এসসি সম্প্রদায়ের মানুষদের, আপনার যে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন খেজুরি ১ ও ২-তে,  আমরা '২১-এ জিতেছি বলে এখানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বন্ধ করিনি। আমরা সবুজ সাথি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করিনি। আমরা এগুলো দিচ্ছি। (কর্মীদের উদ্দেশে) আমি জানি, আপনারা বলছেন বন্ধ করতে। আমি নেত্রীর কাছে আবেদন করব। নেত্রীকে বলব, আপনি যেভাবে স্টাইপেন্ড-স্কলারশিপ ...এমএলএ, পঞ্চায়েতের সই লাগে , পঞ্চায়েত সমিতির সই লাগে ...কুণালদা দিদির কাছে পৌঁছে দেবেন।  মন্ত্রিসভার আলোচনায় বলব, আগামীদিনে আমার পঞ্চায়েত সদস্য সই করলে  তবে পাব। নেত্রী কারও দিদি, কারও বোন, কারও বাড়ির অভিভাবক হয়ে  আছেন, তাই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। আর দিলীপ ঘোষদের পার্টি টাকা নেবে...আর ভোটে দেবে বিজেপিকে...তা হতে দেব না।"  


প্রসঙ্গত, এবার বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। খেজুরিতে 'আক্রান্ত'দের সঙ্গে পাশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহা ও উত্তম বারিক। খেজুরির লক্ষ্মণপুরে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী সুবল মিদ্যার পরিবার। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই হামলা চালায় বিজেপি, অভিযোগ করেছে মিদ্যা পরিবার।