কলকাতা : কার্টুনকাণ্ডের (Cartoon Case) জেরে তাঁকে রাতের অন্ধকারে করা হয়েছিল গ্রেফতার। জেল হেফাজতের পর যেতে হয়েছিল দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। কিছুদিন আগেই দীর্ঘ ১১ বছর পর শেষমেশ মামলা থেকে আইনি অব্যাহতি পেয়েছেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র (Ambikesh Mahaparta)। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জেরে কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর যে গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল, পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন অম্বিকেশ মহাপাত্র। 'রাজ্যের মানুষের সংবিধানের অধিকার কেড়ে নিতে উদ্যত তিনি' বলেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন অধ্যাপক অম্বিকেশ।


'অভিজ্ঞতা থেকে বলছি...'


মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেছেন, 'এখানে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন কার্যকর আছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আজ থেকে ১১ বছর আগের একটি ঘটনাকে ঘিরে। রাতের আঁধারে গ্রেফতার করা হয়েছিল। লক-আপে রাত্রিযাপন করতে হয়েছিল। পরের দিন আলিপুর ক্রিমিনাল কোর্টে পেশ করা হয়েছিল। অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলাম, রাজ্যের সরকার যার নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সংবিধান মেনে সরকার পরিচালনা করবেন বললেও প্রথম দিন থেকেই বুঝিয়ে গিয়েছিলেন তেমনটা হবে না। শাসকদল, দুষ্কৃতী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের সংবিধানের অধিকারে আঘাত-আক্রমণ হানবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তিনি চান না কোনও বিরোধী স্বর এখানে কথা বলুক।'


মুখ খুলেছেন অধীর চৌধুরী- কৌস্তভের এই গ্রেফতারিতে মুখ খুলেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ' মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। কৌস্তভের পাশে আছি।  তাঁর পরিবারকে রাত ৩টে থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। যেন কোনও উগ্রপন্থীকে গ্রেফতার করতে যাচ্ছে। পথে নেমে প্রতিবাদ করবে কংগ্রেস। ' আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। অন্যদিকে কংগ্রেসও পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন। বড়তলা থানার বাইরে কংগ্রেস কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান।


প্রসঙ্গত, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী গ্রেফতার করেছে বড়তলা থানার পুলিশ। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা। ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, প্রতিক্রিয়া কৌস্তভ বাগচীর। ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাড়িতেই তুমুল কথা কাটাকাটি কৌস্তভের। গতকাল শেষ রাতে কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। সকালের দিকে পুলিশের নতুন টিমও যায় কৌস্তভের বাড়িতে। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কৌস্তভ। সাংবাদিক বৈঠকের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে, অভিযোগ কৌস্তভের। 


আরও পড়ুন- 'হোয়াটস অ্যাপ করলেই দীপক ঘোষের লেখা বই' মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের পরেই কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় অভিযোগ ?