সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া : সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা ভারত বন‍্ধের দিনেই রেল রোকো আন্দোলন। তার জেরে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে রেল রোকো কর্মসূচি। 


পুরুলিয়া


পুরুলিয়ার কাঁটাডি স্টেশনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ব্যানার, পোস্টার নিয়ে অবরোধ শুরু হয়েছে। অবরোধের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের পুরুলিয়া-চান্ডিল শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ। এই রুটেই রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, পুরী-নিউ দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, হাওড়া-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন চলাচল করে। ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। মোতায়েন রয়েছে RPF ও GRP।   


মালদা 


মালদার আদিনা স্টেশনে রেল অবরোধে সামিল হয়েছেন আদিবাসী মানুষেরা। যার জেরে শুরু হয়েছে রেল-দুর্ভোগ। সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। 


আসানসোল


সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে আসানসোলের কালিপাহাড়ি স্টেশন রেল অবরোধ শুরু হয় সকাল থেকেই ।শনিবার আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতৃত্বে এই রেল অবরোধ করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ এই রেল অবরোধ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ বাহিনী ।আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের  নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাঁরা , তাঁরা জানান, ৩০ ডিসেম্বর সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারই সমর্থনে শনিবার সকাল ৬ টা ৫০ মিনিট থেকে এই রেল অবরোধ করা হয়। প্রায় পঁয়ত্রিশ মিনিট রেল অবরোধ চলে। এই অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় বলে রেল সূত্রে খবর।  


চলতি বছরের শুরুর দিকেও ৬ দফা দাবিতে 'আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান' সংগঠনের ডাকে জেলায় জেলায় রেল অবরোধ ও চাক্কা জ্যাম করা হয়েছিল । তার জেতে তখনও আটকে পড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।  গত ১১ ফেব্রুয়ারি সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, ঝাড়খণ্ডের পরেশনাথ মন্দিরকে আদিবাসী জনজাতির হাতে তুলে দেওয়া-সহ ৬ দফা দাবিতে,  বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অসমে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ডাক দেয় 'আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান' নামে একটি সংগঠন।                          


                          


আরও পড়ুন :


নতুন মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রাম মন্দিরে, 'আমন্ত্রণ' হিসাবে অযোধ্যা থেকে কী এল জয়গাঁওয়ে ?