রায়গঞ্জ (উত্তর দিনাজপুর): জল্পনার অবসান । সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী । তবে এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূলে যাচ্ছেন কি না, তা পরিষ্কার করেননি।
এদিন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে কৃষ্ণকল্যাণী বলেছেন, যেখানে দেবশ্রী চৌধুরী রয়েছেন, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়।
কয়েকদিন আগেও সাংবাদিক বৈঠক করে দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ভোটে হারাতে চেয়েছিলেন দেবশ্রী। অভিযোগ করেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব হারিয়ে এখন মানসিক অবসাদে ভুগছেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, সদ্য বিজেপিতে ঢুকেছেন, আমি ৭ দিন বা ৭ মাসের জন্য দল করি না, ৩২ বছর ধরে সংগঠনটা করছি। আমি জানি কীভাবে সংগঠন করতে হয়।
এদিনও দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কৃষ্ণকল্যাণী। এদিন তিনি বলেছেন,দীর্ঘদিন ধরে নিজের এলাকায় আসেননি দেবশ্রী চৌধুরী। উনি হঠাৎ করে এসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। কেউ পিছন থেকে ছুরি মারবেন, তা মেনে নিতে পারব না। এজন্য উনি যেখানে রয়েছেন, সেখানে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বিজেপির সাংসদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই দলের পুরোনো সৈনিক কৃষ্ণকল্যাণীকে দলে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছিল তৃণমূল।রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূল নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার বলেছিলেন, এতদিন রায়গঞ্জের মানুষ বলতেন, এখন দলীয় বিধায়ক বলছেন, বিজেপিতে থেকে গঠনমূলক কাজ হয় না, বলব তৃণমূলে আসুন।রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে আগে থেকেই তৃণমূলে ফেরার রাস্তা চওড়া করতে চাইছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। আগামী দিনে তিনি কী করেন, সেটাই দেখার।
উত্তরবঙ্গে বিজেপি শিবিরে ইতিমধ্যেই ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। এবার কী কৃষ্ণ কল্যাণীও একই পথে? সেদিকেই নজর আপাতত রাজনৈতিক মহলের।
বিস্তারিত আসছে..