কলকাতা : যত পথ, মিশেছে একটি পথে গিয়েই৷ রথের পথ৷ সেই পথেই শুক্রবার হাজার হাজার মানুষের ভিড়৷ সেই পথেই রথের রশিতে টান৷ যেন এক টুকরো পুরী  (Puri)। এবারই প্রথম রথতলা শ্রী শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভু মন্দির কমিটির তরফে বেলঘড়িয়ায় রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। ওড়িশা থেকে কাঠ এনে ৬ মাস ধরে তৈরি করা হয়েছে তিনটি রথ। সেই রথ দেখতে অগণিত মানুষ অংশ নেন এই রথযাত্রায়। রথযাত্রায় ছিলেন মদন মিত্র, অর্জুন সিংহ, সুব্রত বক্সী।


বর্ধমানে রথ


এদিকে, পূর্ব বর্ধমান থেকে বাঁকুড়া, বীরভূম, সর্বত্রই ছবিটা এক। বর্ধমানে (Burdwan) এক নয়, জোড়া রথ দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। বর্ধমান রাজবাড়ি সংলগ্ন সোনাপট্টিতে রয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দির। গোটা বছর এই মন্দির চত্বরেই রাখা থাকে সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো রাজা ও রানীর রথ। তবে এখানের রথে থাকেন না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। পরিবর্তে, রাজার পিতলের রথে থাকেন গোপাল, অন্যদিকে রানির রথে থাকেন লক্ষ্মী-নারায়ণ।


বাঁকুড়ায় রথ


পুরনো রাজকীয় সেই জৌলুস না থাকলেও এই রথযাত্রার মাহাত্ম্য আজও একই। করোনা আবহে দু’বছর পর বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে ফের চেনা ছন্দে গড়াল মল্লরাজাদের রথের চাকা। সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই রথের রশিতে টান দেন আট থেকে আশি। স্থানীয়দের সঙ্গে হাত লাগান পর্যটকরাও। এই বিষ্ণুপুরেরই অন্যতম মাধবগঞ্জের রথ উৎসব। এই রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা নন, সওয়ার হন রাধামদন গোপাল জিউ। এদিন মহকুমা প্রশাসনের তরফে শহরজুড়ে শোভাযাত্রা করা হয়। 


বীরভূম- রথ উপলক্ষ্যে এদিন সেজে ওঠে সতী পিঠের অন্যতম বীরভূমের (Birbhum) কঙ্কালীতলা। সকাল থেকে বিশেষ পুজোর পাশাপাশি সন্ধেয় মন্দির থেকে বেরোয় রথ।


পূর্ব মেদিনীপুর-এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তমলুকের মহাপ্রভু মন্দিরে আরতি করেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্দির চত্বর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করেন বিরোধী দলনেতা। 


আরও পড়ুন- এবারের পুজোয় 'রূপান্তর', এই থিমেই ৯৪ বর্ষে উচ্ছ্বাসে ভাসল কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ