কলকাতা: শিক্ষা দুর্নীতি মামলায়, ইডির বিশেষ আদালতে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিন। দেখতে দেখতে  প্রায় ২ বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের মামলা এখনও রয়েছে জিইয়ে। সদ্য কিছুদিন আগেই তিহার থেকে ফিরেছেন শাসকদলের নেতা অনুব্রতও। ঠিক এমনই একসময় পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার হল জামিন। কী অপেক্ষা করছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য ? গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।


২০২২ সালের ২৩ জুলাই,  নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়। বেলঘরিয়া-টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটিরও বেশি নগদ-সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন।  জামিন পেলেও কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না অর্পিতা। প্যারোলে মুক্তির মধ্যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিন।   


ED-আর আইনজীবী বলেন, বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার। যেহেতু প্রভাবশালী, তাই তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। এরইমধ্য়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় মোড়। প্য়ারোলের মধ্য়েই জামিন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। গ্রেফতারির ৮৫৭ দিন পর তাঁকে জামিন দিল ED-র বিশেষ আদালত। অর্থাৎ 'অপা'র 'অ' জেলের বাইরে বেরোচ্ছেন। 'পা' অর্থাৎ পার্থ এখনও জেলবন্দি।


২০২২ সালের ২৩ জুলাই, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ED। তাঁর বেলঘরিয়া এবং টালিগঞ্জের ফ্ল্য়াট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ প্রায় ২ কোটি টাকার সোনার গয়না। এবং স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়। এরপরই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, চক্রান্তের অংশ হিসাবে দেখিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর, থেকেই কখনও ED-র হেফাজতে, কখনও জেল হেফাজতে ছিলেন অর্পিতা। এই অবস্থায়, মায়ের মৃত্যুর পর, গত শুক্রবার,তাঁর প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। 
 
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী। এই অবস্থায় সোমবার, ED-র বিশেষ আদালতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করে বলেন,এখনও এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি। চার্জফ্রেম পর্যন্ত হয়নি। এই মামলার সর্বোচ্চ যে সাজা তার এক-তৃতীয়াংশ সময় জেলে কাটিয়েছেন অর্পিতা।সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, সর্বোচ্চ সাজার এক তৃতীয়াংশ কেউ যদি জেলে থাকে তাঁকে জামিন দিতে হবে।এরপরই, সোমবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।


আরও পড়ুন, 'ছাপ্পা ভোটে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না BJP..' ! সাফ জানালেন শুভেন্দু 


অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় জামিন পেলেও, এখনও জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর জামিনের বিষয়টি নিয়ে একমত হতে পারেননি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়। ডিভিশন বেঞ্চের কোনও মামলায় বিচারপতিরা একমত হতে না পারলে মামলাটি কোন বেঞ্চে যাবে, তা স্থির করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি তৃতীয় কোনও বেঞ্চে মামলাটি ফয়সালার জন্য পাঠান। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলাটি পাঠিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চে। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।