সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি। হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে সোমবার শুনানি। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল । ৪ সপ্তাহের মধ্যে সবাইকে ১২% সুদ-সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ ।
হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি গিয়েছে। ২০১৬ সালে স্কুলের চাকরি পাওয়া, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের প্যানেল সোমবার বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। বারবার প্রশ্ন উঠছে, এই বিপর্যয়ের দায় কি করে এড়াতে পারে রাজ্য় সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন? বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, সোমবারই, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায় সামনে আসার পর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেছিলেন, পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য ২৬ হাজার জনের কেন চাকরি বাতিল হবে? আমরা নিশ্চয়ই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করব।
সেইমতো, বুধবারই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মামলা দায়ের করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। SSC সূত্রে দাবি, CBI এবং তাদের কাছে থাকা তথ্য মিলিয়ে একটি পরিসংখ্যান আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কেনও সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট? এই প্রশ্ন তুলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন, ভোটপ্রচারে গিয়ে ফের বিপত্তি, হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে পড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে, রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে, তখন চাকরিহারাদের একাংশ, আইনজীবীদের একাংশ ও বিরোধীরা বলছেন রাজ্য সরকার ও SSC-র জন্যই তো আজ যোগ্যদের এই পরিণতি। নিজেদের দোষ ঢাকতে ও কলকাতা হাইকোর্টের উপর দোষ চাপাতেই কি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা? কার ভুলে এখন অথৈ জলে তাঁদের ভবিষ্যৎ? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারাদের একাংশ। অন্যদিকে, সোমবার কী রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে