কলকাতা: এনুমারেশন পর্ব শেষের পরও BLO-দের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি। BLO-দের জন্য নতুন অপশন জারি করল নির্বাচন কমিশন। সিমিলার ফটো ইলেক্টর ভেরিফিকেশন নামে নতুন অপশন জারি করা হয়েছে। 'একই ছবি একাধিক ভোটারের ক্ষেত্রে ব্যবহার হলে ফের পরীক্ষা করতে হবে, পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট BLO অবিলম্বে পাঠাবেন নির্বাচন কমিশনকে', গতকাল এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে, তাও সক্রিয় অপশন। এনুমারেশন শেষের পরও অপশন দেওয়ার উদ্দেশ্য স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি, দাবি কমিশন সূত্রে।
আরও পড়ুন, এনুমারেশন পর্বের পরও নতুন নির্দেশিকা, সিইও অফিসের সামনে ফের বিক্ষোভে তৃণমূলপন্থী বিএলও-রা
'BLO- দের ওপর এইভাবে মানসিক অত্যাচার কেন ECI-এর জবাব চাই, জবাব দাও'
বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে SIR-এর এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার কাজ।তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের একবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের সামনে আছড়ে পড়ল BLO-দের একটা বড় অংশের ক্ষোভ!আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে উঠল CEO দফতর চত্বর! BLO অধিকার রক্ষা কমিটি বিক্ষোভকারী বলেন, BLO- দের ওপর এইভাবে মানসিক অত্যাচার কেন ECI-এর জবাব চাই, জবাব দাও। 'যার আঁচ ছড়িয়ে পড়ল বিভিন্ন জেলাতেও।
'আমাদের না শিখিয়ে হঠাৎ করে চাপিয়ে দেওয়া, যেগুলো আমরা নিতে পারছি না'
রামপুরহাট, সালানপুর, সিউড়ি , দুবরাজপুর ,বীরভূমের রামপুরহাট থেকে পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুরে, একইভাবে কমিশনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন BLO-দের একাংশ। রামপুরহাটের বিক্ষোভকারী BLO নির্মল মণ্ডল বলেন, প্রপার ট্রেনিং, নির্দিষ্ট কৌশল সেগুলো আমাদের না শিখিয়ে হঠাৎ করে চাপিয়ে দেওয়া, যেগুলো আমরা নিতে পারছি না। সালানপুর BLO, ১২৭ পার্ট পূর্ণচন্দ্র মাঝি বলেন, কালকে আপডেট করার পর দেখছি প্রায় ২০০ আমার কাছে ফর্ম এসেছে, সেগুলো রি-ভেরিফাই করতে হবে!
সিইও অফিসের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের
এদিন ফের সিইও অফিসের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের। সিইও অফিসের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির। এনুমারেশন পর্ব শেষের পর বিএলও-দের জন্য নতুন অপশন জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ। অন্যান্য ৬টা রাজ্যে যখন সময় বর্ধিত করা হল, সেখানে বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) সঙ্গে এমন বৈমাতৃসুলভ আচরণ কেন? দুপুর ১২টা থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে সালানপুর BDO অফিসের সামনে ধর্না-বিক্ষোভ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার পরেও নতুন নির্দেশিকা আসছে। অতিরিক্ত চাপ। BLO চন্দনা সাহা বলেন, একমাস যাবৎ আমাদের খাওয়া-ঘুম সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গেছে।