ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: SIR সংক্রান্ত কাজের চাপের অভিযোগ, এবং ডেডলাইনের সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছে তৃণমূলপন্থী সংগঠন বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আন্দোলনের অন্যতম ২ মুখ, একজনের কাজ ১০০ শতাংশ শেষ, আরেকজনের প্রায় শেষের পথে। প্রশ্ন উঠছে, সময়ের আগেই যদি কাজ শেষ হয়ে যায়, তাহলে এই আন্দোলনের কী প্রয়োজন?
জোড়াসাঁকোর বিএলও তনুশ্রী মোদক ভট্টাচার্য বলেন, 'শো-কজের চাপ, সাসপেন্ডের চাপ আছে। এই অমানুষিক চাপ নেওয়া যাচ্ছে না। ভাবুন তো ব্রেন স্ট্রোক হয়ে যাচ্ছে। এটা তো মানসিক মারাত্মক চাপ থেকেই হচ্ছে।'
SIR-এর কাজের চাপে BLO-র মৃত্যু, আত্মহত্যার অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কাজের চাপেই একাধিক BLO অসুস্থ হয়ে পড়ছেনও বলে দাবি উঠেছে। এই অবস্থায় SIR-এর কাজের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি উঠেছে!
কলকাতায় CEO দফতরের বাইরে তৃণমূলপন্থী সংগঠন, 'BLO অধিকার রক্ষা কমিটি'র বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই আন্দোলনেরই অন্যতম দুই মুখ, অর্থাৎ দুই BLO, নির্বাচন কমিশনের ডেডলাইনের আগেই বেশিরভাগ কাজ শেষ করে ফেলেছেন। অর্থাৎ... যে কাজ যে সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয় বলে তাঁরা আন্দোলন করছেন সেই BLO-দের ১ জনের ১০০% কাজ কমপ্লিট। আরেকজনের কাজও শেষ হওয়ার মুখে। যেমন, পুরুলিয়ার ১৯৬ পার্টের বুথ লেভেল অফিসার সোনালি চক্রবর্তী। তৃণমূলপন্থী সংগঠন, 'BLO অধিকার রক্ষা কমিটি'র সদস্য আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি। নির্বাচন কমিশনের দফতরের ভিতরে টানা ৪৮ ঘণ্টা বিক্ষোভেও উপস্থিত ছিলেন। সেই BLO-রই SIR-এর ১০০% কাজ কমপ্লিট।
তাঁর বক্তব্য, অত্যন্ত চাপের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হয়েছে। কিন্তু, চাপ সত্ত্বেও যে ডেডলাইনের অনেক আগে কাজ শেষ করা সম্ভব, তা তিনিই দেখিয়ে দিয়েছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে কারণে তাঁরা আন্দোলন করছেন, যে, মারাত্মক কাজের চাপ। এত স্বল্প সময়ে তা করা প্রায় অসম্ভব। ডেডলাইনের সময়সীমা বাড়াতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আন্দোলনের মুখ যারা, তাঁদেরই কাজ এমন হুহু করে এগিয়ে গেছে!
যদিও আন্দোলনকারী এই দুই BLO-র দাবি, তাঁরা সকলের জন্যই আন্দোলনে নেমেছেন। রাজ্যে এনুমারেশন পর্ব শেষ হচ্ছে ৪ ডিসেম্বর।