কলকাতা: স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বুধবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ সিজিও (CGO) কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। তারপর ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। রাত ১২টা কুড়ি নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন মানিক ভট্টাচার্য। ১২ টা ১৫ পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর।


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদ্য অপসারিত সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। বুধবার, ED দফতরে হাজিরা দেন। সকাল দশটার একটু আগেই কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে দশটা থেকে, দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।


কেন জিজ্ঞাসাবাদ:
গত শুক্রবার, মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সূত্রের খবর, সেখান থেকে ৪টি সিডি উদ্ধার হয়েছিল। ২০১৪ সালের টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা যে, ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে, ইতিমধ্যেই তাঁরা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া সিডি থেকে, বেআইনি ভাবে নিয়োগ হওয়া সেই সব প্রার্থীদের নাম, ফোন নম্বর ও ইমেল পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি সেই তল্লাশির সময়, মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু নথি, তথ্য ও মেসেজ পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়েই বুধবার, মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


কী কী প্রশ্ন:
কার নির্দেশে তালিকা তৈরি হয়েছিল? কেন নির্দিষ্ট কয়েকজনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হল? কার নির্দেশে এই নম্বর দেওয়া হয়েছিল? সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি'র অফিসাররা। এদিনও, আলাদা করে ইডি'র অফিসাররা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।


প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।