সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: এবার নবম-দশমেও এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হল। এই মামলায় এবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘প্যানেলে নাম নেই, তা সত্ত্বেও কীভাবে নিয়োগ? এটা চরম বিস্ময়ের, তদন্ত করুক জয়েন্ট ডিরেক্টর। কী করে এটা হল খুঁজে বের করতে হবে সিবিআইকে’।


শুধু তাই নয়, ‘এই দুর্নীতির পিছনে কারা আছে খুঁজে বের করুক সিবিআই। নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন থাকলেও খুঁজে বের করুক। যাঁদের হাতের পুতুল সরকারি অফিসাররা, তাঁদেরও খুঁজে বের করতে হবে। এসএসসি-র চেয়ারম্যানের রিপোর্টেও তালিকার বাইরে নিয়োগের উল্লেখ।' ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআই-কে প্রাথমিক রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতির তরফে।                    


এর আগে গ্রুপ সি-তে সিবিআই অনুসন্ধানের অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে জানিয়ে দেওয়া হয়, তদন্তে নজরদারি করবেন সিবিআই অধিকর্তা। এ দিকে, ভুয়ো চাকরির অভিযোগে বাতিল করা হয়েছিল ৩৫০ জনের চাকরি। অবিলম্বে ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।  


আরও পড়ুন, রোগী পাইপ বেয়ে ৪ তলার কার্ণিশে, পরে মৃত্যু, আরজি করে চাঞ্চল্য   


অন্যদিকে, এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলাতেও মঙ্গলবার সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে৷ পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলার রিপোর্ট কমিটিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ এদিন হাই কোর্টের দুই বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল।                                  


মামলাকারীদের পক্ষে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, সরকার স্কুল খোলার দোহাই দিয়ে অনিয়মের পাশে দাঁড়াচ্ছে।  শুধু গ্রুপ ডি নয়, অনেক ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে।