পশ্চিম মেদিনীপুর : 'আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে দিতে হয়েছে কাটমানি', অভিযোগ খোদ তৃণমূল সাংসদ দেবের (Dev) খুড়তুতো ভাইয়ের। কেশপুরের ২ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তাঁর। ২০১৬ সালে ২ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত ২ তৃণমূল (TMC) নেতার।
ঠিক কী অভিযোগ
তৃণমূল সাংসদ দেবের জ্যেঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারীর অভিযোগ, ১৬-য় টাকা এসেছিল। ৭৫ হাজার টাকা। তখন সেই ৭৫ হাজার টাকা তুলে আমাকে পার্টিকে দিতে হয়েছে, দিয়ে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে আর টাকা যখন চাইছি, তখন বলছে, না টাকা দেয়নি। এই নিয়েই এবারে ঘর-দুয়ার সব তো জলে। যখনই বৃষ্টি হয়, তখনই মোটামুটি সব ঘরগুলো জলে ভর্তি হয়ে যায়। শুতে পারা যায় না। এখন আমি বলছি, আমার টাকাটা দেওয়া হয়েছিল কি না। টাকাটা দাও। ঘর তো করতে পারলাম না। তারপর হাইলাইটের পরে শিউলি সাহা বলল, যে একটা ঘর দেব, একটা কাজ দেব। আজ পর্যন্ত কিছু নেই। আর জল হলেই আমার বাড়িতে জল ঢুকছে।
তাঁর দাদা সাংসদ। তাঁকে কি অভিযোগ জানিয়েছিলেন ? জানতে চাইতে বিক্রমের সংযোজন, দাদাকে কিছু জানানো হয়নি। ওর লেভেলে তো কিছু খবর যায়নি, আর জানেও না। আর জানলে তো, আজকে যদি জানত, তাহলে এরকম অবস্থা হত না।
অভিযোগ অস্বীকার
কেশপুরের অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী বলেছেন, এখনও পর্যন্ত বাড়ি কাগজে কলমে কারও আসেনি। আর বিক্রম অধিকারীর কাছে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে, এরকম বিস্ফোরক অভিযোগ, বিক্রম অধিকারী যদি প্রমাণ করে দিতে পারে, তাহলে এই মুহূর্তে আমি আইনত যা শাস্তি দেবে, আমি মাথা পেতে নেব। আর বিক্রম অধিকারীর সঙ্গে রাজনীতি আমি এখনও পর্যন্ত করিনি। একদিন পার্টি অফিসে মদ খেয়ে মাতলামো করছিল। গালাগালি করছিল। সেই থেকে অলরেডি আমি পার্টি অফিস ছেড়ে দিয়েছি। পার্টি অফিসেও যাই না। আর আমি পার্টি অফিসে বলে এসেছিলাম, এরকম যদি নেতা থাকে, আমি কিন্তু রাজনীতি করব না।
আরও পড়ুন- 'NRC-র ভয় দেখাচ্ছেন মমতা', রেড রোডে নিশানা শুভেন্দুর
পিন্টু চক্রবর্তী, অরুণ রায় নামের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবের ভাইয়ের।
আরও পড়ুন, তাজা নাকি ফ্রিজের সবজি ? কোনটা উপকারী ?