গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। সঙ্গে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। এর মধ্যেই দুই জেলায় জোড়া বিপর্যয়।উত্তাল সমুদ্রের গ্রাসে আরও ট্রলার। রবিবারই দিঘা মোহনা থেকে আড়াই কিলোমিটার কিলোমিটার দূরে 'মা অন্নপূর্ণা' নামে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে । সেইসঙ্গে মোহনা থেকে মাছ ধরতে গিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙে চুরমার হয়ে যায় 'নিউ প্রতিমা' নামে একটি ভুটভুটি। সোমবারও পূর্নিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সাগর। উথাস পাথাল ঢেউয়ে উল্টে গিয়েছে তিনটি ট্রলার।


রবিবার বিকেল নাগাদ সাগরের বেগুয়াখালিতে উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় দুটি ট্রলার। দুর্ঘটনার জেরে আহত হন দুই মৎস্যজীবী। গুরুতর জখম হয়েছেন দুজনেই। দুজনকে সাগর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দুটি ট্রলারের আরও ৮ মৎস্যজীবীকে।


অন্যদিকে জম্বুদ্বীপের কাছে ইলিশ ধরার সময় উত্তাল ঢেউয়ের জেরে উল্টে যায় ট্রলার 'এফবি বাব মলেশ্বর' । দুর্ঘটনার পর পাশে থাকা অন্য মৎস্যজীবীরা সাগরের জল থেকে ১৯ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। তবে ট্রলারটির কোনও খোঁজ নেই। কাকদ্বীপ বন্দর থেকে এই ট্রলারটি রওনা দিয়েছিল। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কী করে মৎস্যজীবীরা গেলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


অন্যদিকে রবিবারের পর আজ, সোমবারওহ ভয়াবহ ভাঙনের মুখে রাজ্যের অন্যতম তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রম। সকাল থেকে জলোচ্ছ্বাসের জেরে স্নানঘাটের ১ থেকে ৫ নম্বর কংক্রিটের রাস্তা, গাছ, অস্থায়ী দোকান, বিদ্যুতের খুঁটি তলিয়ে গিয়েছে সমুদ্রের জলে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্রতটে। সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের সাগরে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 


নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত সুন্দরবনজুড়ে ভারী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন।  


আরও খবর :                  


আজও রোদ আর মেঘের খেলা চলবে আকাশজুড়ে, না ভরপুর বৃষ্টি হবে কলকাতায়? 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।