নয়া দিল্লি : একের পর এক জঙ্গি হানার ঘটনায় ত্রস্ত কাশ্মীর ( Kashmir Terror Attack )। ফের অশান্ত ভূস্বর্গ। এবার হানা রাজৌরির সেনাঘাঁটিতে ।  সোমবার সাতসকালেই এল জঙ্গিহানার খবর।  নাশকতা আটকাতে এলাকা ঘিরে ফেলেছে নেমেছে সেনা। অবিরাম চলছে গুলিবর্ষণ। সূত্রের খবর, জম্মু - কাশ্মীরের রাজৌরির একটি গ্রামে অবস্থিত সেনা ছাউনিতে হানা দিয়েছে জঙ্গিরা। গুলি, পাল্টা গুলিতে আহত হয়েছেন এক সেনা-জওয়ান। 



জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ব্যর্থ করল সেনা


জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির একটি প্রত্যন্ত গ্রামে একটি সেনা পিকেটে বিরাট বড় হামলা চালানোর কথা ছিস সন্ত্রাসবাদীদের। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগোচ্ছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সেই খবর পেয়েই তৈরি ছিল ভারতীয় সেনা। সুপরিকল্পিত ভাবে জঙ্গিদের বড় নাশকতার ছক ভাস্তে দিল প্রতিরক্ষা বাহিনী। জানিয়েছে, Public Relations Office, Defence Jammu। সোমবার সকাল থেকেই চলছে গুলি , পাল্টা গুলি। সোমবার ভোরে একটি সিকিউরিটি পোস্টে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয়ে যায় তল্লাশি অভিযান। পিটিআই সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ভোর ৪টায় রাজৌরি জেলার গুন্ধা এলাকায় একটি নিরাপত্তা চৌকিতে গুলি চালায় । নিরাপত্তা কর্মীরা পাল্টা জবাব দেয়। ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে দাবি, গুলিতে এক জওয়ান আহত হয়েছেন।






গত সপ্তাহেই ১৬ জুলাই জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে, মৃত্যু হয় এক ক্যাপ্টেন-সহ ৪ জন সেনা জওয়ান ও একজন পুলিশ কর্মীর। নিহত ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার বাড়ি দার্জিলিঙে। সোমবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় ভারতীয় সেনার। সঙ্গে ছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও। দু-পক্ষের লড়াইয়ে ৪ জন জওয়ান ও এক জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁদের। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ক্য়াপ্টেন ব্রিজেশ থাপাও। ডোডায় জঙ্গি হামলার দায় নিয়েছে কাশ্মীর টাইগার্স।


এর আগে গত ৮ জুলাই, জম্মু-কাশ্মীরের ডেরা-কি-গলি এলাকায় জঙ্গিদের হামলায় ৫ সেনা জওয়ান শহিদ হন।  ১১ জুন জোড়া হামলায় ৬ জন জওয়ান জখম হন। ৪ মে পুঞ্চে এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫ জন। 


আরও পড়ুন :


'আমি গর্বিত যে আমার ছেলে দেশের জন্য কিছু করেছে', বলছেন শহিদ ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার বাবা