ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : বাংলাতেও ফের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে মহামারী। সপ্তাহের শুরুতে  স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্টের সংখ্যা কমেছে। তাই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সংখ্যা কমলেও উদ্বেগ বাড়িয়ে বেড়েছে পজিটিভিটি রেট ( Positivity Rate )।  স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে করোনার পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১৫ শতাংশ পার। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উঃ ২৪ পরগনা। তারপরেই কলকাতা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভ্যাকসিনের প্রিকশনারি ডোজ নেওয়ায় ব্যাপক অনীহা ( Booster Dose )  নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও উৎসাহ নেই। 


প্রিকশনারি ডোজ নেওয়ায় ব্যাপক অনীহা
রাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ ও প্রিকশনারি ডোজ নেওয়ায় ব্যাপক অনীহা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এর ফলে জুলাই মাসের শেষে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বিপুল পরিমাণ টিকার। এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত জেলায় স্টোরে মজুত ও দ্রুত মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে এমন ভ্যাকসিন রয়েছে, তা নিয়ে আসা হচ্ছে বাগবাজার ভ্যাকসিন স্টোরে। সেখান থেকে চাহিদা বুঝে ওই ভ্যাকসিন পাঠানো হবে প্রতিবেশী রাজ্যে।


ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ ডোজ পাঠানো হয়েছে পটনায়
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই কাজ করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ ডোজ পাঠানো হয়েছে পটনায়। আগামীকাল হায়দরাবাদে পাঠানো হবে আড়াই লক্ষ ডোজ। স্বাস্থ্য সচিবের তরফে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আবেদন করা হয়েছে বিনামূল্য সকলকে প্রিকশনারি ডোজ দেওয়ার। জবাব মেলেনি কেন্দ্রের। খবর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। 

সতর্ক করলেন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার
ভ্যাকসিন না নেওয়ার এই প্রবণতা ঠিক নয় মনে করছেন চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। ২০২০-র প্রথম ঢেউয়ের সময়টা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় রোগটাকেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেউ। ভাইরাসকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়, উপায় খুঁজছিল মানুষ। কিন্তু এখন হাতে আছে একাধিক ভ্যাকসিন। আবারও নতুন রূপে আসছে করোনা। এখনও করোনা আক্রান্তদের উপসর্গ ভয়াবহ হচ্ছে না ঠিকই, তবু অবহেলা করা ঠিক হচ্ছে না বলেই মনে করছেন ডা. সরকার। তিনি মনে করছেন, আবারও একটা ঢেউ আটকাতে ভ্যাকসিন নেওয়া ও মাস্ক পরার অভ্যেসটা বজায় রাখতেই হবে।