সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: বছর শেষে নিম্নমুখী তাপমাত্রার পারদ। এরই মধ্য়ে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে কাশির (Cough and Cold) প্রকোপ। শিশু থেকে বৃদ্ধ। কাশিতে কাহিল সকলেই। কারও কারও ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে থাকছে হালকা জ্বরও। কারণ নিয়ে ধন্দে বিশেষজ্ঞরা। নতুন ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা।


ঘরে ঘরে কাশির প্রকোপ: শুতে, বসতে, ঘুমোতে যেতে, ঘুম থেকে উঠতে কাশি। গলা খুশ খুশ, অস্বস্তি। বসে যাচ্ছে গলা। সপ্তাহ পেরিয়ে মাস। কারও ক্ষেত্রে আবার এক মাসের বেশিও থাকছে কাশি। কারও কারও ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে থাকছে হালকা জ্বরও। কাফ সিরাপ থেকে ঘরোয়া টোটকা। কাজে আসছে না কিছুই। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.সুমন পোদ্দার বলেন, “বাচ্চা বয়স্ক সবার হচ্ছে। কাশি কমছেই না। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ থাকছে। কোনও ওষুধ কাজ করছে না। ভাইরাস ও দূষণের কারণে হতে পারে।’’

উৎসবের মরশুমে নিম্নগামী তাপমাত্রার পারদ। তার মধ্য়েই কাশিতে কাহিল শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে। করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। অনেকের ক্ষেত্রেই হুপিং কাশি পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। তাহলে আচমকা কাশির প্রকোপের কারণ কী? এর কারণ নিয়ে ধন্দে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ। তাপমাত্রা ওঠা-নামার সঙ্গে কিছু কিছু ভাইরাস বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন শ্বাসযন্ত্রে মূলত সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। তাঁদের অনুমান রাইনো ভাইরাস, মেটানিমো ভাইরাস, আরএস ভাইরাস বা অ্য়াডিন ভাইরাসের সংক্রমণে এমন হতে পারে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ এহসান আহমেদ বলেন, “আয়ুর্বেদিক, এলোপ্যাথিক, কাফ সিরাপ কিছুতেই কমছে না। রোগীরা আসছেন কিন্তু কাউকে রিলিফ দেওয়া যাচ্ছে না।’’

এমনকী নতুন কোনও ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। চিকিৎসক ডা. শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই বছর লং কফ অনেকেরই হচ্ছে। প্রতি বছরই হয়। এবছর একটু বেশি সময় ধরে হচ্ছে। হতে পারে এটা কোনও নতুন ভাইরাস।’’ এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঠান্ডা জল, বরফ এড়িয়ে চলতে হবে। দ্বিতীয় বার যাতে ব্য়াকটেরিয়া সংক্রমণ না হয় সে তা নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক ব্য়বহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Kolkata Weather: কুয়াশার চাদরের মোড়া রবিবারের ভোর, দিনভর কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?