কলকাতা: নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গ জেরবার। শেষ হচ্ছে না বর্ষা। তবে এখনই বৃষ্টি কমার কোনও লক্ষণই নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলেছে, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে এখন নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
এই নিম্নচাপের সঙ্গে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫.৮ কিলোমিটার উঁচুতে একটি ঘূর্ণাবর্ত। একই সঙ্গে মৌসুমি অক্ষরেখা গঙ্গানগর, শিবপুরী, দামোহ হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরে বাংলায় এখনও বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।
এই নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার থেকে আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে। কখন হালকা, কখনও ভারী আবার কখনও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর ফের নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর সেই নিম্নচাপটি পশ্চিম থেকে উত্তর পশ্চিম অভিমুখে এগোবে। ৫ সেপ্টেম্বর এই নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হবে।
হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ ছত্তীসগঢ়ে। মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলা থেকে দূরে ওড়িশার কলিঙ্গপত্তনম দিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। উত্তরবঙ্গে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতে। দার্জিলিং-সহ ওপরের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি তার সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
শুক্রবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সেইমতো বেলা গড়াতেই বৃষ্টি নামে একাধিক জেলায়। শনিবার ও রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি হবে।
এই নিম্নচাপের সঙ্গে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫.৮ কিলোমিটার উঁচুতে একটি ঘূর্ণাবর্ত। একই সঙ্গে মৌসুমি অক্ষরেখা গঙ্গানগর, শিবপুরী, দামোহ হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরে বাংলায় এখনও বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।