কলকাতা : ভরা পৌষে বর্ষার আমেজ। গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা। আজ রাত পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ১০ জেলা এবং উত্তরের দুই জেলায় বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। হাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় মাঝারি বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গে বাকি জেলাতে হালকা বৃষ্টি। উত্তরে দুই জেলায় হালকা বৃষ্টি। তবে কাল আর বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরে কাল দার্জিলিং ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টি হবে না। কাল পাহাড়ে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা।


কাল থেকে বড়দিন ও বর্ষবরণ উদযাপনে মাতোয়ারা হওয়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফের পারদ পতন। ৪৮ ঘণ্টায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ পতন হবে। ৭২ ঘণ্টা পর থেকে ফের সামান্য পারদ উঠবে। জাঁকিয়ে না হলেও হালকা শীতের আমেজে কাটবে বড়দিন। বড়দিন এবং বর্ষ শেষের রাতে কলকাতার পারদ ১৬ থেকে ১৫ এর মধ্যে থাকতে চলেছে। 


দক্ষিণের সব জেলায় কাল ভোরে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে । উত্তরে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বাদে বাকি সব জেলায় কাল ভোরে ঘন কুয়াশা দেখা যাবে। কাল উত্তরবঙ্গে খুব ভোরে দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ২০০ মিটারের নীচে নামবে। নিম্নচাপ আছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে এগিয়েছে। গত ৬ ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিবেগে এগিয়েছে। অভিমুখ বিশাখাপটনম। রবিবার বিকেল পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ মৎস্যজীবীদের। অন্ধ্র, তামিলনাড়ু উপকূলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়গ্রামে। প্রায় ৮ মিলিমিটার। কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ২ মিলিমিটার। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫ মিলিমিটার। পূর্ব মেদিনীপুরে ৮ মিলিমিটার।


দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরোক্ষ প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে পুবালি বাতাসের সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। পশ্চিম মধ্য  ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপটি শুক্রবার শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর-উত্তর পূর্ব অভিমুখে অগ্রসর হবে। তবে গভীর নিম্নচাপটি আর শক্তিশালী না হয়ে সমুদ্রের উপর দুর্বল হয়ে পড়বে বলেই আবহাওয়াবিদদের ধারণা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।