মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : মর্মান্তিক ! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকের উপর উল্টে গেল ট্রাক্টর। দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা মহিলার মৃত্যু। নাম রনেত পারভিন(২৫)। আহত হন শিশু-সহ তাঁর স্বামী। পুলিশের তাড়া খেয়ে গতি বাড়িয়ে দেয় ওভারলোডেড ইট বোঝায় ট্রাক্টর! কিন্তু, শেষমেশ গতি রাখতে না পারায় এই দুর্ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দুর্গাপুর পথ নগরীর রাস্তায় পুলিশের ত্রিপল টাঙানো ক্যাম্পে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয়দের। যাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুর থানার নিউ স্টিল পার্ক রোডে। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার পুলিশ বাহিনী।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ স্টিল পার্কের শেখ সাবির তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে শিশুকে ডাক্তার দেখিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। নিউ স্টিল পার্কে যাওয়ার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই ওই ট্রাক্টরটি প্রচণ্ড গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ওপর উল্টে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ সাবিরের স্ত্রীকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশু ও শেখ সাবিরও গুরুতর আহত।


প্রত্যক্ষদর্শী শেখ রশিদের অভিযোগ,"এখানে দিনরাত তোলাবাজি চলে পুলিশের। আজও পুলিশ তাড়া করছিল ট্রাক্টরটিকে। সেই জন্যই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। পুলিশের এই তোলা আদায়ের জন্যই আজ মৃত্যুর মুখে পড়তে হল ওই মহিলাকে। আমরা চাইছি এসব বন্ধ হোক।"


গত পরশুই হাওড়ায় ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাবার সঙ্গে বাইকে চেপে MBA পরীক্ষার ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন বাবা এবং ছেলে। গত পরশু দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে নবান্নের কাছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে। শুক্রবার সকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর বাবা ওই হাসপাতালের আইসিইউতে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি ঘাতক লরি এবং চালক। 


হাওড়ার দক্ষিণ বাকসাড়া পোলেন পাড়ার বাসিন্দা সুব্রত কুন্ডু(৫৩) শিশুদের একটি স্কুল চালান। গতকাল তাঁর একমাত্র ছেলে সস্মিত কুন্ডু (২৩) কে বাইকে  চাপিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল এমবিএ ভর্তির ইন্টারভিউ। বাইকটি যখন দুপুর আড়াইটা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেস ওয়ে ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রচ রোডে উঠতে যায় সেই সময় পিছন থেকে একটি লরি ধার থেকে বাইকটিকে চেপে দেয়। সুব্রতবাবু বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে ডিভাইডারে ধাক্কা মারলে রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাবা এবং ছেলে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন দুজনেই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় আন্দুল রোডের এক বেসরকারি হাসপাতালে।


হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুজনের শরীরে একাধিক হাড় ভেঙে যায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে অচৈতন্য হয়ে পড়েন সস্মিত। তাঁদের দুজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে সস্মিতের হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।