কলকাতা: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আচমকাই পারদ চড়ে অস্বস্তি বেড়েছে। ভোরের বাতাসে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, বেলা বাড়তেই সেই  কোমল স্পর্শ হারাচ্ছে মুহূর্তেই। অফিস টাইম থেকেই জ্বালা ধরাচ্ছে রোদ। এদিকে এমন অবস্থায় স্বস্তির খবর শোনাল হাওয়া অফিস (Weather Office)। 


৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে, সঙ্গে বৃষ্টি..


আবহাওয়া দফতরের তরফে সৌরিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন , ২১ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ দুই জায়গাতেই। প্রধানত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। বজ্রবিদ্যুৎ-র সম্ভাবনা থাকছে দুই এক জায়গায়। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে কোনও কোনও জায়গায়। দুই এক জায়গায় শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকছে।


তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি


এদিকে ইতিমধ্যেই দিনের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি রয়েছে। যেমন কলকাতা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে বেশি চলছে। কলকাতার ক্ষেত্রে হয়তো ২৩ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। এটা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৩-৪ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা বেশি রয়েছে। সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাস্পের প্রবেশ যথেষ্ট বেশি রয়েছে। এবং উত্তর পশ্চিমের শুষ্ক হাওয়ার জেরেও কিছু প্রভাব রয়েছে। 


সপ্তাহান্তে কেমন আবহাওয়া ?


 তবে ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি কমে আসবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতেই মূলত বৃষ্টির সম্ভাবনা হালকা থেকে যাবে।২২ তারিখে শিলাবৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। উত্তরবঙ্গে ক্ষেত্রে মালদা, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পঙে শিলাবৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা থাকছে ।উত্তরবঙ্গে ২৩ তারিখে দুই এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ২৪ তারিখে ফের বাড়তে পারে। প্রধানত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গের দুই এক জায়গায়। তবে তাপমাত্রা কিছুটা বেশিই থাকবে।  


আরও পড়ুন, 'কীভাবে মহিলাদের সম্মান করতে হয়, জানে না', কুণাল ইস্যুতে মুখ খুললেন অগ্নিমিত্রা


মূলত গোটা পৌষজুড়ে তেমন শীতের দেখা মেলেনি। উত্তুরে হাওয়ার পথে একাধিক বাধা তৈরি হয়েছিল। তবে সংক্রান্তির আগে থেকেই দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে শীত ফিরেছিল ২৩ জানুয়ারি। ওইদিন ছিল কলকাতায় এই মরশুমের শীতলতম দিন। তবে মরশুমের শীতলতম দিনের পরপরই বেড়েছে বঙ্গের তাপমাত্রা। জানুয়ারির শেষে শীতের কামড়ে বেশ কাবু হয়ে পড়েছিল মহানগর। তারপরই পারদের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। যদিও তারপর পরই ফের শীতের আমেজ ফিরে আসে। যদিও সেটাও ছিল ক্ষণস্থায়ী।