অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : রবিবার সন্ধে-রাত্তির থেকে অঝোরধারায় ভিজেছে মহানগরী (Kolkata0 । তীব্র উত্তাপের পর স্বস্তির স্নান (rain) । স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হলেও কমেছে গরম। সকাল থেকেই শহরে বইছে ঠান্ডা। আশার খবর একটাই, আগামী ৪ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টি চলবে।


পূর্বাভাসে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ( Alipore Met Ossice) জানাল, দিনের বেলায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকলেও বিকেলের পর কমবে তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গতকাল রাতের বৃষ্টির পর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।   


উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি চলছে। সোমবারও কার্শিয়ং, কালিম্পঙে বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ের মুখ ঢেকেছে মেঘে।   
গত কয়েকদিন ধরে পূবালি হাওয়া ঢুকছিল রাজ্যে। তাতে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বাড়ে। এরইমধ্যে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয় ছোটনাগপুর অঞ্চলে। সেই মেঘ থেকেই স্বস্তির বারিধারা দক্ষিণবঙ্গে। 

আরও পড়ুন :


‘কাউকে টিকা দিতে বাধ্য করা যাবে না’ , জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট



রবিবার, আবহাওয়া দফতর জানায়, সেদিন থেকেই রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই মতো ভেজেও শহর কলকাতা থেকে শহরতলি। বুধবার পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ, দুই বঙ্গেই হতে পারে কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি, বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। অন্যদিকে, আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। 


শনিবার প্রায় ২ মাস পর স্বস্তির বৃষ্টি নামে কলকাতায়। মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী তিলোত্তমায়। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৪ কিলোমিটার বেগে বয় ঝোড়ো হাওয়া। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শনিবাসরীয় সন্ধেয় ভেজে শহরের সর্বত্র। তবে কালবৈশাখীতে স্বস্তির সঙ্গেই, দেখা দেয় বিপত্তিও। কাল বৈশাখীর তাণ্ডবে পূর্ব মেদিনীপুরে তিন জনের মৃত্যু হয়। নন্দীগ্রামের দেবীপুরে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। গাছে ডাল মাথায় পড়ে ময়নায় মৃত্যু হয় ১১ বছরের বালকের।  অন্যদিকে, একইভাবে খড়গপুরে মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। আধঘণ্টার ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাহত হয় বিমান পরিষেবা।  আগরতলা থেকে আসা একটি বিমান অবতরণের সময় এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে। যার জেরে কলকাতা বিমানবন্দরে ৫৫ মিনিট দেরিতে নামে ইন্ডিগোর বিমান। ঝড়ের জন্য অন্য রাজ্যে পাঠানো হয় ৩টি বিমান। যাদবপুর-ঢাকুরিয়ার মধ্যে লাইনে গাছ পড়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয় পরিষেবা।