কলকাতা: ইতিমধ্য়েই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাষ মিলিয়েই প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। তবে এখানেই শেষ নয়, IMD সূত্রে খবর, আগামীকালও রয়েছে রাজ্যের প্রায় ১৯ জেলায় বৃষ্টির আশঙ্কা। ৩০ থেকে ৪০ কিমি গতিবেগে বয়ে যাবে ঝোড়ো হাওয়া এবং পড়বে বাজ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা দুই বঙ্গেই।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'কালই কেন ?', বিরোধীদের প্রশ্নের পাল্টা প্রধানমন্ত্রী মোদি, 'অপারেশনের জন্য এবার কি শ্রাবণ মাসের সোমবার খুঁজতে হবে ?'

Continues below advertisement

ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস। নিম্নচাপের জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে কাল পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি।দঃ ২৪ পরগনা, হাওড়া-সহ ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়াতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ৫ বছরের মধ্যে কলকাতায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে চলতি মাসে। জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং মৌসুমী অক্ষরেখার ত্রিফলা আক্রমণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফের ভারীয় বৃষ্টি হতে পারে দুই বঙ্গে। লাগাতার বৃষ্টির মধ্যে সকালে ভয়াবহ ধস নামে কালিম্পঙের তারখোলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। যার ফলে, কালিম্পং-এর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর সড়ক যোগাযোগ। 

 একের পর এক নিম্নচাপ। লাগাতার বৃষ্টি। বিপর্যস্ত কলকাতা থেকে কালিম্পং।এরই মধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতায় জুলাই মাসে রেকর্ড করেছে বৃষ্টি। পরিসংখ্যান বলছে, স্বাভাবিকের থেকে ৬৪ শতাংশ বৃষ্টি বেশি হয়েছে কলকাতায়। ৫ বছরে কলকাতায় এত বৃষ্টি হয়নি। দক্ষিণবঙ্গে ১৬ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায়। স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তরবঙ্গে।

তার মধ্যেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় দুই বঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং মৌসুমী অক্ষরেখার ত্রিফলা আক্রমণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারীয় বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।   অন্যদিকে, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে বুধবার সকালে কালিম্পঙের তারখোলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ ধস নামে। পাহাড়ের ওপর থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। কালিম্পং-এর সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর। নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল বইছে। রবিঝোরা ও ২৯ মাইল এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল।

অন্যদিকে, লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতেও বিপর্যস্ত জনজীবন। মৃত্যু হয়েছে কয়েক জনের। কয়েকজন নিখোঁজ। বৃষ্টির কারণে মান্ডির বেশ কিছু জায়গায় কাদার ধস নেমেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক গাড়ি। সোমবার রাত থেকে মান্ডিতে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। মান্ডি ও কুলুর মাঝে চণ্ডীগড়-মানালি ৩ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নামায় বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা।