সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: কলকাতা (Kolkata) সহ উপকূল ও সংলগ্ন এলাকায় মেঘলা আকাশ। বেলা যত বাড়বে বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা ততই বাড়বে। দফায় দফায় হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। ইডেনে (Eden Gardens) বিশ্বকাপের (World Cup) সেমিফাইনাল (Semi Final) ম্যাচ বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।

  
 
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর তা গতি পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর সকালে এটি ভুবনেশ্বরের কাছাকাছি ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করবে। এরপর উপকূল বরাবর বাংলাদেশের দিকে এগোবে। শনিবার বিকেল অথবা সন্ধ্যের দিকে এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকার পাথরঘাটা মাথাবেড়িয়া দিয়ে বরিশালের অভিমুখে যাবে। এর প্রভাবে ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর মৎস্যজীবীদের উত্তর বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


আজ সকালের দিকে ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া, বিকেলের দিকে এই ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে পারে। ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে। 


বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর উত্তর ২৪ পরগনা কলকাতা হাওড়া হুগলি পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়াতে।


আরও পড়ুন, জেলে মোবাইল ফোনের জন্য বারবার বায়না জ্যোতিপ্রিয়র


শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা  উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলার কিছু অংশে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম কলকাতা হুগলি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। শনিবারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।


কলকাতায় আজ মেঘলা আকাশ। আজ দুপুর থেকে কয়েক দফায় হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রাতে যত বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। শুক্রবারও মেঘলা আকাশ ও দু এক পশলা হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৬ থেকে ৯০ শতাংশ।