মনোজ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, পশ্চিম বর্ধমান: কয়েকদিন আগেই বেহালার (Behala Road Accident) ঘটনা গোটা রাজ্য়বাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। বাবার হাত ধরে স্কুল যাওয়ার পথে প্রাণ হারাতে হয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারকে (Souranil Sarkar)। লরি পিষে দিয়েছিল তাকে। এবার আরও একবার পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হল একজন। এবার ঘটনাস্থল অবশ্য পশ্চিম বর্ধমানের (West Burswan) অন্ডাল (Andal)। সেখানে উখরা গার্লস হাইস্কুলের সামনে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। সূত্রের খবর, একটি বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক প্রৌঢ়কে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই ব্য়ক্তির। জানা গিয়েছে মৃতের নাম সাধন ভান্ডারী। বয়স ৬২ বছর। বাইক আরোহীকে অন্ডাল থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গোটা এলাকায়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ৪ আগস্ট স্কুল যাওয়ার সময় প্রাণ হারাতে হয়েছিল সৌরনীলকে। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া তার অভিভাবকের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে একটি ট্রাক শিশুটিকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। অভিভাবক তথা শিশুটির বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারের নিয়ে যাওয়া হয়।।
ঘটনার প্রতিবাদে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সিগন্যাল পড়ে যাওয়ার পর বাবার সঙ্গে সাইকেলে পাড় হচ্ছিল ওই বাচ্চাটি। অপর দিক থেকে একটি কর্পোরেশনের ট্রাক এসে বাচ্চাটির মাথা পিষে দিয়ে চলে যায়। দুর্ঘটনার পর লরিটিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। কোনও গার্ড নেই এখানে।
ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পুলিশের গাড়ি ও একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে বেহালা চৌরাস্তা চত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার রোড। আটকে পড়ে একের পর এক গাড়ি।
এই ঘটনার কিছুদিন পরেই ঠাকুরপুকুরে এক হোমের সামনে আবাসিক ছাত্রকে ধাক্কা মেরেছিল এক বেপোরোয়া ট্যাক্সি। রক্তাক্ত হতে হয়েছিল পড়ুয়াকে। ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালের সামনে এমজি রোডের ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। হরিদেবপুর থেকে জেমস লং সরণির দিকে যাওয়ার সময় হোমের আবাসিক ছাত্রকে ধাক্কা মারে ট্যাক্সি। জানা গিয়েছে, মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে বালকের। হরিদেবপুর থানার ASI দেখতে পেয়ে ওই ট্যাক্সিতেই পড়ুয়াকে তুলে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে ওই বালককে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়।