কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান:  পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে মনের মতো ওয়ার্ডে টিকিট না পেয়ে পদ ছাড়লেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। পুরভোটে প্রার্থী হতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন দলের চার নেত্রীও। সবাইকে প্রার্থী করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। বিরোধী শিবিরের এই অবস্থা দেখে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


আসানসোলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই বিজেপিতে অসন্তোষ। মনমতো ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে না পেরে পদত্যাগ করলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি।পুরভোটে প্রার্থী হতে না পেরে পদ ছাড়লেন চার বিজেপি নেত্রীও।


আর এ নিয়েই পুরভোটের আগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে। চার কর্পোরেশনের ভোটে  শুক্রবারই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া ব্রিগেড।


তাতে আসানসোলের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয় বিজেপির এক নম্বর মণ্ডল সভাপতি সুদীপ চৌধুরীকে।কিন্তু নিজের পছন্দমতো ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে না পেরে, তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে পদ ছেড়েছেন তিনি। সুদীপ চৌধুরী  বলেছেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে ৪৭-এ দাঁড় করানো হয়েছে, দলের সভাপতির অঙ্গুলিহেলনে একাজ করা হয়েছে।


বিজেপি নেতা সুদীপ চৌধুরীর মতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন দলের চার মহিলা নেত্রীও। পুরভোটে দল প্রার্থী না করাই যে অসন্তোষের কারণ, সেকথাও জানিয়েছেন তাঁরা। 


পুরভোটের মুখে দলের একাংশের বিদ্রোহের জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


বিজেপির বক্তব্য, সবাইকে প্রার্থী করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ের দাবি,  বিজেপির হার নিশ্চিত জেনেই অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন না।


বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে বলেছেন, সুদীপকে তো প্রার্থী করা হয়েছিল, যদি ওর মনঃপূত না হয় সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার, আর সবাইকে প্রার্থী করা সম্ভব না, কী করা যাবে।


আসানসোল কর্পোরেশনে ভোট ২২ জানুয়ারি।ফল ঘোষণা ২৫ তারিখ।