কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান : উপাচার্যর (VC) লাগাতার মানসিক নির্যাতনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক অধ্যাপক (Professor)। এই অভিযোগ তুলে আন্দোলকারীদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে ভিসিকে। আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kazi Nazul University) ভিসির গাড়ি ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান। ঢুকতে না পেয়ে ফিরে গেলেন উপাচার্য। মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ভিসি।


অচলাবস্থা অব্যাহত !


উপাচার্যর অপসারণের দাবিতে, আসানসোলের (Asansol) কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। ক্যাম্পাসে আসতেই ভিসিকে ঘিরে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। গাড়ি ঘিরে হল বিক্ষোভ। বাধ্য হয়ে ফিরে গেলে উপাচার্য। কর্মী, শিক্ষক থেকে পড়ুয়া, উপাচার্যর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে, আন্দোলনে উত্তাল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ২৫ দিনের মাথায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। উপাচার্যকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। 


উপাচার্য আসতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি


প্রতীকী স্বাগত জানাতে আন্দোলনকারী (Agitator) শিক্ষক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ভিসিকে মালা পরিয়ে দেন। উপাচার্য গলা থেকে খুলে সেই মালা পরিয়ে দেন শান্তনুর গলায়। মিষ্টিমুখ করাতে গেলে সেই মিষ্টি আন্দোলনকারী শিক্ষককেই খাইয়ে দেন উপাচার্য। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে যান উপাচার্য। আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উপাচার্যর লাগাতার মানসিক নির্যাতনের জেরে আন্দোলনকারী শিক্ষক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এই অভিযোগে উপাচার্যর গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। 


খবর পেয়ে ছুটে আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়ি বের করে দেওয়া হয় ভিসির গাড়ি। উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার সংঘাতে গত ১৩ মার্চ থেকে উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়। ডিএ আন্দোলনে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করার অভিযোগে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে ডিসচার্জ করেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। এরপরই বিক্ষোভ-আন্দোলন চরমে ওঠে। বরখাস্তের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রেজিস্ট্রার। রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার নোটিসে তিন সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)।                                                            


আরও পড়ুন- পূর্বসূরি ধনকড়কে অনুসরণ! উচ্চশিক্ষায় নজরদারি রাজ্যপালের, আর্থিক লেনদেনে নিতে হবে অনুমোদন