কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল বাংলা। সেই আবহে কড়া অবস্থান রাজভবনের। উচ্চশিক্ষায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত। পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) পর এ বার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেনে কড়া নজর রাখতে উদ্যোগী হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সেই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল রাজভবন (Raj Bhavan)। 


প্রতি সপ্তাহের কার্যক্রমের রিপোর্ট পাঠাতে হবে রাজভবনে


রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে আচার্য তথা রাজ্যপালের আগাম অনুমোদন নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহের কার্যক্রমের রিপোর্ট পাঠাতে হবে রাজভবনে। সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। 


এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "রাজ্যপাল আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছেন যে, তা ভালই। তবে রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। রাজ্যে নির্বাচিত সরকার আছে। সরকারের শিক্ষা দফতর আছে। আমাদের দেখতে হবে, রাজ্যপালের উৎসাহে যেন নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব না হয়। রাজ্যপাল যা-ই করুন, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে করা উচিত।"


আরও পড়ুন: Dearness Allowance : 'কর্মচারীরা বারবার কর্মবিরতিতে, সরকারের পদক্ষেপের প্রয়োজন', ডিএ আন্দোলন নিয়ে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের


যদিও রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, "তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিধানসভায় এমন বিল পাস করিয়েছিল যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব কলেজের উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কায়েম করেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ ছিল। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমরা টাকা দিচ্ছি। নাক গলাব না কেন?' অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছিল। আচার্যকে অন্ধকারে রেখে, অনুমোদন ব্যাতীত সব করা হয়েছিল। তার জন্য এত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরে যেতে হয়। শিক্ষায় এর প্রভাব কী পর্যায়ে গিয়েছে, তা শুধু বাংলা নয়, দেশের মানুষ জেনে গিয়েছেন।"


ধনকড় জমানায় একই পরিস্থিতি  তৈরি হয়েছিল, সংঘাত বাধে রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে


এর আগে, ধনকড় জমানায় একই পরিস্থিতি  তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ও উচ্চশিক্ষা দফতর মারফত আচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সেই নিয়ে চরম সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার জেরে রাজ্য বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইনি সংশোধনী বিলও পাস হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্য করার পথতে এগোয় রাজ্য বিধানসভা।  


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI