মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: কাঁকসায় (Kanksa Update) একই পরিবারের তিন সদস্যের খুনের ঘটনায় এখনও অধরা অপরাধীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ৩ জনেরই মোবাইল ফোনের হদিশ মিলছে না। প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের সন্দেহে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। হেলমেট পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া রহস্যময় ব্যক্তির সন্ধানে, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এখনও অধরা অপরাধীরা: একই বাড়িতে তিন তিনজন খুন। নিহত ৩ জনেরই মোবাইল ফোন উধাও। বাড়িতে দু-দুটো পোষ্য কুকুর। অথচ তিনজনকে খুনের সময় তাদের কেউই চিৎকার করল না। প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই কি খুন? তা নিয়েও বাড়ছে জল্পনা। কেন দিদা, নাতি ও নাতনিকে খুন করা হল, তা নিয়ে অন্ধকার কাটেনি। কে বা কারা খুন করল? কেনই বা খুন করল? হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারও হয়নি কেউ। থমথমে এলাকায় বাড়ছে আতঙ্ক।
শুক্রবার এই বাড়িরই পাশাপাশি ২ টি ঘর থেকে উদ্ধার হয় দিদা ও নাতনির মৃতদেহ। বাথরুমের মধ্য়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার নাতির রক্তাক্ত দেহ। অসমে বড় মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন বাড়িমালিক ও তাঁর স্ত্রী। পরিবারের ৩ সদস্যের খুনের খবর পেয়ে ফিরে এসেছেন তাঁরা। পুলিশের সন্দেহ, তরুণী সিমরন বিশ্বকর্মাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বাড়িমালিকের শাশুড়ি সীতাকে খুন করা হয়েছে তাঁরই পরনে থাকা শাড়ির ফাঁস দিয়ে। আর সিমরনের মামাতো ভাই সোনু বিশ্বকর্মাকে বাথরুমে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, নিহত সিমরনের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। মৃতার মায়ের দাবি, এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সিমরনের। ওই যুবক সিমরনকে বিয়েও করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলায় তাতে সায় দেয়নি সিমরনের পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মৃতার কাকিমার দাবি, শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে হেলমেট পরা এক ব্য়ক্তি বাড়িতে ঢোকে। সন্দেহভাজন যুবক ও হেলমেট পরা রহস্যময় ব্যক্তি একই লোক নয়তো?পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।৩ নিহতের মোবাইল ফোন কোথায় গায়েব হয়ে গেল, তারও সন্ধান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।'
আরও পড়ুন: Weather: উত্তুরে হাওয়ার মাঝেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? জানাল আবহাওয়া দফতর