মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দূর্গাপুরঃ পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দুর্গাপুর। ভাঙচুর করা হল গাড়ি। রাস্তা অবরোধ উত্তেজিত জনতার। সোমবার সকালে আসানসোলগামী ভলভো বাস ভুল লেন ধরে যাচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎই সতেরো বছরের এক কিশোর রাস্তা পারাপার করতে গেলে তাকে ধাক্কা মারে ভলভো বাসটি। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুচিপাড়া চত্বর, ভাঙচুর করা হয় বাসটি। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ করে রেখে দেয় স্থানীয় জনতা।
এদিকে গতকাল চতুর্থীর রাতে ইএম বাইপাসে ক্যাপ্টেন ভেড়ির কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। রাত সোয়া ২টো নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, সায়েন্স সিটি থেকে চিংড়িঘাটার দিকে যাওয়ার সময় বাইকের চাকা পিছলে যায়। দ্রুত গতির বাইকের চাকা পিছলে রাস্তায় পড়ে যান যুগল।
যুবকের মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উল্টোদিকের রাস্তায় গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২৪ বছরের যুবকের। তরুণীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দম্পতি ইন্দ্রজিৎ দে ও শুভ্রা নাথ দে বাঁশদ্রোণীর গড়িয়া নাথ পাড়ার বাসিন্দা। গতকাল সায়েন্স সিটি থেকে চিংড়িঘাটার দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, যুগলের মাথায় হেলমেট ছিল না, বাইকের গতি ছিল ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারের বেশি। বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
এর আগে, নিক্কো পার্কের কাছে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটলে গুরুতর আহত হন চালক ও এক তরুণী-সহ পাঁচজন। পুলিশ সূত্রে খবর, চিংড়িঘাটা থেকে নিউটাউনের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। নিক্কো পার্কের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মেরে সেটি উল্টে যায়। চালক-সহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাড়ির গতি বেশি থাকায় দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
তার আগে, রাতের শহরে ফের বেপরোয়া গতির বলি হন এক বাইক আরোহী। দুর্ঘটনা ঘটে মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে। ডাকঘরের কাছে চন্দননগরে উড়ালপুলের গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে নীচে রাস্তায় পড়ে যান হেলমেটহীন বাইক চালক।