মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: পুজোর ছুটি মানেই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বেরিয়ে পড়া। পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনার টানে। পাহাড় মানেই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে থাকে দার্জিলিং।
তবে, সময়ের সঙ্গে পছন্দ বদলাচ্ছে। এখন অনেকেরই পাড়ি দিচ্ছেন কার্শিয়ঙের আশেপাশের এলাকা। ভ্রমণ পিপাসুদের ডেসটিনেশন হয়ে উঠছে সেন্ট মেরি হিল। কার্শিয়ং থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে নির্জন গ্রাম। চারপাশ ঘেরা জঙ্গলে। ভাগ্য ভাল থাকলে হোমস্টে থেকেই দেখা মিলতে পারে হরিণ থেকে শুরু করে বন্য পশুপাখির । এই সেন্ট মেরি হিলেই রয়েছে সুচিত্রা সেনের বাংলো। রয়েছে ইংরেজ আমলে চার্চ, সমাধিস্থল। পর্যটকদের আনাগোনায় কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছেন স্থানীয়রা। 

আরও পড়ুন :


গরম ভাত বা ফুলকো লুচির যোগ্য সঙ্গত মটরশুঁটির ধোকার ডালনা, বেগুন বাসন্তী, দেখুন রেসিপি



প্রকৃতির নির্মল স্পর্শ পেতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন কার্শিয়ঙের এই অফবিট জায়গায়। অতএব কাঁধে ব্যাগ নিয়ে এবার শুধু পৌঁছে যাওয়ার অপেক্ষা। এছাড়াও, পুজোর ছুটিতে একসঙ্গে প্রকৃতির এই জোড়া সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতেই পারে কালিম্পং থেকে ৪৮ কিমি দূরে পানবু ভিউ পয়েন্ট। বছরভর কুয়াশার চাদর এখানে অপেক্ষা করে পর্যটকদের আদরে মুড়িয়ে দিতে।
ইচ্ছে করলেই যেন হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারবেন মেঘেদের মিনার। 

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে অপরূপ সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত। করোনাকালে খাঁচাবন্দি জীবন থেকে বেরিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে যাঁরা কাছাকাছির মধ্যে বেড়াতে যেতে চাইছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো অপেক্ষায় পানবু। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে এখানে একবার এলে ভুলে যেতে পারেন বাড়ি ফেরার টান-ও।  তবে সব ভালোর মধ্যে সমস্যা একটাই, পানবুতে এখনও হোম স্টে বা অন্য থাকার কোনও ব্যবস্থা চালু হয়নি। হোম স্টের জন্য আপনাকে যেতে হবে ২ কিমি দূরের সামথার বা আরও কিছুটা দূরের চারকোলে।


আরও পড়ুন :


আজ মহাষষ্ঠী, দেবীর বোধন