দুর্গাপুর: হস্টেল থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। দুর্গাপুর এনআইটি-তে তুলকালাম। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগপত্র লিখলেন ডিরেক্টর। দুর্গাপুর এনআইটিতে পরীক্ষা চলাকালীন হস্টেল থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার দেহ। মৃত অর্পণ ঘোষ হুগলির বাসিন্দা। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে। সঠিক সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। প্রতিবাদে ডিরেক্টরকে ঘিরে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। চাপের মুখে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখলেন ডিরেক্টর। আদৌ এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর এনআইটি চত্ত্বর ও স্থানীয় এলাকায়।
এছাড়া কিছুদিন আগেই এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল নরেন্দ্রপুর। পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই পড়ুয়ার দেহ। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবার সেবার দাবি করেছিল যে বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন সেই পড়ুয়া। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। পরে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়ায় পুকুর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছতেই আছড়ে পড়েছিল জনরোষ।
গত বছর বরানগর বনহুগলিতে প্রতিবন্ধী হাসপাতালে হস্টেল থেকে এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার পর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল সেবার হাসপাতালে কোনও রকম ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নেই। সেই কারণে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছিল প্রিয়রঞ্জন সিংহ নামে ওই পড়ুয়াকে। মাঝরাস্তায় মারা যান তিনি। এর পরই হাসপাতালের গেট বন্ধ করে এভং পরিষেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। এতেই শেষ নয়। তাঁদের অভিযোগ, খবর পেয়েও দেরিতে এসেছে বরানগর থানার পুলিশ। ফলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু হয়েছিল মালদায়। সেখানে দাদুর বাড়িতে গিয়েছিল সে। সেখানেই দাদুর বাড়িতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতন, অপমানে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সেই ছাত্রী এমনটাই দাবি করেছিল পরিবার। ২ ছাত্রের বিরুদ্ধে মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল মৃতার পরিবার।
এছাড়া গত বছর যাদবপুরে হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা তো গোটা রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। আরও একবার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটল কলেজের হস্টেলেই। হুগলির অর্পনের মৃত্যুর পেছনে কেউ দায়ী কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।