মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রকল্প এক, কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে সূচনা হল দু'বার। কাজ শুরুর আগেই সংঘাত শুরু হয়ে গেল তৃণমূল-বিজেপির (TMC-BJP)। বিজেপির অভিযোগ, রাজনীতির সংস্কৃতি বদলে দিচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা তোপ দেগেছেন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। দুর্গাপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
এক কাজের জোড়া শিলান্য়াস: সরকারি প্রকল্প একটাই। তাও এখনও কালের গর্ভে। কবে শুরু, কবে শেষ কেউ জানে না। যে কাজ হবে, তারই কৃতিত্ব নিয়ে শুরু হয়ে গেছে দড়ি টানাটানি। একবার শিলান্যাস করেছে তৃণমূল, আর একবার বিজেপি। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাচিতি। নিবেদিতা প্লেসের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই ড্রেনের ওপর তৈরি হোক স্থায়ী একটি কালভার্ট। তাহলে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠার রাস্তা কমবে অন্তত ৩ কিলোমিটার। স্থায়ী কালভার্ট যতদিন না হচ্ছে, ততদিন অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পাশাপাশি পাতা হয়েছে তিনটি কংক্রিটের বিদ্যুতের খুঁটি। এই পথে রোজ যাতায়াত করেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু রাতের অন্ধকার নামলেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে এই অস্থায়ী ব্যবস্থা। স্থানীয়দের দাবি, রাতে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন অনেকে।
কাজ শুরুর আগেই সংঘাত: স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন পর স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) উন্নয়ন তাহবিলের টাকায় তৈরি হতে চলেছে স্থায়ী কালভার্ট। এরই মধ্যে গত ৮ মার্চ নারকেল ফাটিয়ে, সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর ও জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী। তাঁর তহবিলের টাকায় যে প্রকল্প হবে, তার শিলান্যাস কেন করবে তৃণমূল? এই প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার ফের নারকেল ফাটিয়ে শিলান্যাস করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তিনি বলেন, “বাংলায় নোংরা রাজনীতি আমদানি করছে তৃণমূল। আজ ডেকেছিলামা তৃণমূল আসেনি।’’ দুর্গাপুর পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অসীমা চক্রবর্তী বলেন, “পুরসভার এলাকার মধ্যে বলে আমি করেছি। সরকারের টাকা। বিজেপি বিধায়ক ডাকেননি।’’ কাজ এখনও শুরু হয়নি, এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: সোনারপুরে পাচারের পর্দা ফাঁস, ইনোভা গাড়ি থেকে উদ্ধার ৩টি গরু