মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুরে পরিবহণ ব্য়বসায়ী খুনের (Transport Buisnessman) কিনারা করল পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মৃতের প্রাক্তন প্রেমিকা ও তাঁর প্রেমিক। পুলিশের দাবি, পরিবহণ ব্যবসায়ী অবিনাশ ঝায়ের সঙ্গে একসময় সম্পর্ক ছিল আফরিন খাতুনের। বিচ্ছেদ ঘটলেও, প্রাক্তন প্রেমিকা ও তাঁর বর্তমান প্রেমিক বিট্টু সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন যোগাযোগ রাখতেন করে প্রায়ই টাকা চাইতেন আফরিন ও বিট্টু। টাকা দিতে অস্বীকার করায়, গত বুধবার অবিনাশকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে খালি মদের বোতল মাথায় ভেঙে ও শাবল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, এরপর অবিনাশের হাত-পা বেঁধে তাঁরই বাইকে দেহ চাপিয়ে ফেলে আসা হয় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। সোমবার অভিযুক্ত যুগলকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। 


ধৃতদের মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ দুর্গাপুর থানার ফরিদপুর ফাঁড়ি এবং দুর্গাপুরের মহিলা থানা থেকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য়, এর আগে সোমবার দুর্গাপুরের বিজুপাড়া ও নঈম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরের গোপালমাঠের বনগাঁ মোড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হাত পা মুখ বাধা অবস্থায় অবিনাশ ঝায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্র মারফৎ খবর অনুযায়ী মৃত যুবক দুর্গাপুরের বেনাচিতি নতুনপল্লী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে দুর্গাপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন দিনেই ওই খুনের কিনারা করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থানার বিজুপাড়ার বাসিন্দা বিট্টু সিং গল্ফ নগরে বিট্টুর বাড়িতে গত বুধবার অবিনাশকে বিয়ার খাইয়ে ওই বিয়ারের বোতল মাথার পিছনে মেরে  হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর অবিনাশের হাত-পা বেঁধে তারই বাইকে করে অবিনাশের দেহ বনগাঁ মোড়ে ফেলে দেয় বিট্টু। অবিনাশকে খুন করার সময়ে সেখানে আফরিনও ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে আফরিনের সঙ্গে আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল অবিনাশের।


আফরিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল বিট্টুরও। পরিবহণ ব্যবসায়ী অবিনাশকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতা দুই অভিযুক্ত। দিতে অস্বীকার করলেই খুন করা হয় অবিনাশকে বলে পুলিশের অনুমান। গ্রেফতারের পর দুই জনেই খুনের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।