কৌশিক গাঁতাইত, জামুড়িয়া (পশ্চিম বর্ধমান):  শশুরবাড়ি এসে কপাল খুলল। কোটিপতি হলেন জামাই। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জামুড়িয়ায় । জামুড়িয়ার শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা শ্রীধর রুইদাসের শশুরবাড়ি ওই থানা এলাকারই শিবপুরে । পেশায় বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী শনিবার সকালে শশুরবাড়ি আসেন । এখানেই সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ  তিনি একটি লটারির টিকিট কেনেন । দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি জানতে পারেন লটারির প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা তিনি জিতেছেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ এসে ওই ব্যক্তি থানায় নিয়ে যায় । নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে । লটারিতে পাওয়া টাকা দিয়ে মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে চান বলে জানান শ্রীধর ।


উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগেই  রাতারাতি কোটিপতি  হয়েছিললেন উত্তর ২৪ পরগনার  আমডাঙ্গার ডাব ব্যবসায়ী। লটারি টিকিট কেটে ভাগ্যের চাকা ঘোরে আমডাঙার বোদায় গ্রামের বাসিন্দা রুলামিন মন্ডলের। রুলামিন এর অভাবের সংসার পেশায় ডাব ব্যবসায়ী দিন আনে দিন খাই অবস্থা ছিল। ব্যবসা করে যা আয় করেন,  সেই আয়ের কিছু টাকা সে প্রতিদিনই লটারি টিকিট কিনতে খরচ করতেন। গত মাসে  লটারিতে  এক কোটি টাকা পেয়েছিলেন তিনি। ভয়ে রাতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন আমডাঙ্গা থানায়। 


এর কিছুদিন আগেই কোচবিহারে ধারে লটারি টিকিট কেটে কোটিপতি হয়েছিলেন দিনহাটার রফিকুল হক। দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের গোবড়াছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভরানী প্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা পেশায় এ্যাম্বুলেন্স চালক রফিকুল হক। মাঝে মধ্যেই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার লটারি টিকিট বিক্রেতা সুব্রত দেব রায়ের কাছ থেকে টিকিট কাটতেন তিনি। কখনো সামনা সামনি টিকিট নিয়ে টাকা দিতেন, আবার কখনো বাইরে থাকলে হোয়াটস্যাপে টিকিটের ছবি পাঠিয়ে দিতেন, পরে রফিকুল টাকা দিয়ে দিতেন সুব্রত দেব রায়কে। ওই দিনও ঠিক তাই হয়েছিল। সেদিন বিকেলেও রফিকুল হকের কথা মত একটি টিকিট হোয়াটঅয়াপে এর মাধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন টিকিট বিক্রেতা । কিছুক্ষন পর সেই টিকিটে প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা ওঠে। এর পরেই ফোন করে রফিকুলকে খবর দেন ওই টিকিট বিক্রেতা। তরিঘড়ি ছুটে আসে রফিকুল। পরে দিনহাটা থানায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রফিকুল ও সুব্রত ।