মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান:  তখন অন্ধকার নেমে এসেছে,  ওই জায়গায় এমনিতে আলো কম। গা ছমছমে পরিবেশ। হঠাৎই গাছ থেকে এল আওয়াজ। অন্ধকারে সেই আওয়াজ যেন বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় স্থানীয়দের।  গাছের মগ ডালে ওটা কে? কয়েকজন সাহস করে এগিয়ে যান আলো নিয়ে। গাছের মগডালে আলো ফেলতেই  দেখা যায় কে একজন মগডালে চড়ে বসে রয়েছে। আরও ভালো করে দেখে বোঝা গেল, গাছের ডালে চড়ে বসেছে এক তরুণী।   মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণীর দুর্গাপুরের ধুনরা প্লটের একটি গাছে চড়ে বসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তাঁকে বারবার গাছ থেকে নামতে বললেও তিনি রাজি হননি। 


খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। দমকলবাহিনীর কর্মীরা গাছ থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। দুর্গাপুর থানায় ওই তরুণীকে নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  ওই তরুণীর বাড়ি অন্নপূর্ণানগরে। চিকিৎসার অভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। বেনাচিতি বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াযন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।


কয়েক মাস আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় এক মহিলার গাছে চড়ে বসার ঘটনা সামনে এসেছিল। নিজেকে ভগবান দাবি করে বট গাছে চড়ে বসেছিলেন ওই মহিলা। ওই মহিলাকে গাছ থেকে নামাতে হিমশিম খেতে হয় ঘাটাল ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীদের। দাসপুর থানার আনন্দ গড়ে ওই মহিলা নিজেকে ভগবান দাবি করে বট গাছের মগডালে চড়ে বসেন। সেই গাছের পাশেই ছিল হাইটেনশন বিদ্যুতের তার। জানা গিয়েছিল, ৪৫ বছর বয়সী ওই মহিলা দিদির বাড়িতেই থাকেন। ঘটনার দিন দুপুরে হঠাৎ করেই বট গাছের মগডালে ওই মহিলাকে এলাকার লোক দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেয়। অনেক কষ্টে ফায়ার ব্রিগেড মহিলাকে গাছ থেকে নিচে নামিয়ে আসতে সক্ষম হয়।  নামায় কারণ গাছের নিচে ছিল বিদ্যুতের তার। বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।  তারপর ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ওই মহিলাকে নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন।  প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে চলে এই কর্মকাণ্ড। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন।