কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: ইসিএল-এর (ECL) আবাসন 'দখল' করে গড়ে অভিযোগ বিজেপির কার্যালয় (BJP Office) এর বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে এই কার্যালয় টি বন্ধ করে দেয় ইসিএল কর্তৃপক্ষ। আজ আবার সেটির 'দখল' নেয় বিজেপি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) ও ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে রাণীগঞ্জের অমৃতনগর কোলিয়ারি এলাকায়।


অগ্নিমিত্রার দাবি,'ইসিএল-এর সিএমডি- র সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। এটি বিধায়কের কার্যালয়। কোনওভাবেই এটা ছেড়ে দেওয়া হবে না।' অন্যদিকে ইসিএল-এর দাবি,' সম্পত্তি তাঁদের। এটা ছেড়ে দিতেই হবে।' পুলিশ , সিআইএসএফ-র সামনেই বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন খনির পার্সোনাল ম্যানেজার দীনবন্ধু মন্ডল। পুলিশ কোনওভাবে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।


 প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে, এই ইসিএল পুর্ণবাসনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে চরম আকার ধারণ করে। লাউদোহার শীর্ষা গ্রামে ফের ধস নামে। মাস ছয় আগে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। তলিয়ে যায় একটি বাড়ি। তখন ECL -এর আধিকারিকরা এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে ঠিক করেন যে অবিলম্বে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তাদের কিন্তু সেই পুনর্বাসন এখনও  হয়নি।  এরই মধ্যে আবার ধস হয়েছে।আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা কলিয়ারির রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায়। আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি। ECL আধিকারিকরা এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।


গতবছর অগাস্ট মাসে অন্ডালের বহুলা অঞ্চলে ইসিএলের খোলামুখ খনি-লাগোয়া (coal mine) জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ধসের  ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বাসিন্দারা। পাথর পুকুর এবং বাদ্যকর পাড়ায় কয়েকটি বাড়ির উঠোন ধসের জেরে তলিয়ে যায়। ঘটনাচক্রে সেই সময় পরিবারগুলির কোনও সদস্য বাড়ি ছিলেন না। ফলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বাড়ি ফিরে ওই ছবি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা।   বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন এলাকাবাসী।


আরও পড়ুন, জন্ম থেকেই ছোট হাত, 'পা' দিয়েই মাধ্যমিক দিচ্ছেন জগন্নাথ


 রাষ্ট্রায়ত্ত 'ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের' বিরুদ্ধে এমনিতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের অনেকে। খোলা মুখ খনি এলাকা থেকে কয়লা তোলার সময় মাটির নিচে বিস্ফোরণ হয় যার জেরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে একাধিকবার ইসিএল আধিকারিকদের জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ECL কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই ফের এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, সাফ বক্তব্য তাঁদের।  বিক্ষোভ সামলাতে একসময়ে ঘটনাস্থলে আসতে হয় অন্ডাল থানার পুলিশ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের।