কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমানঃ আসানসোলে (Asansol) কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ফের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra TIwari) স্ত্রী চৈতালিকে (Chaitali Tiwari) জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ (Police)। গতকাল ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের শেষে আসানসোল (Asansole) পুরসভার বিরোধী দলনেত্রীকে চতুর্থ নোটিস ধরানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামীকাল সকাল ১১টায় জিতেন্দ্র-পত্নীকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর, চৈতালি তিওয়ারির ওয়ার্ডেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HighCourt) রক্ষাকবচ পান চৈতালি। তবে আদালত তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে।


র আগে, আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সফায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটনায় এবার একহাত নিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। টুইটে তোপ দেগেছিলেন তিনি। কুণাল ঘোষ বলেন,  'আসানসোল অঘটনের সময় শুভেন্দু পালিয়ে গেল। কলকাতা, দিল্লি, কাঁথিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও আসানসোলের মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াল না কেন ? অমানুষিক। অমানবিক। সস্তার রাজনীতির কারবারি। কেন প্রশ্ন উঠছে না ?' 


প্রসঙ্গত, আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বালিকা-সহ ৩ জনের। মৃত চাঁদমণি দেবী আসানসোলের কাল্লার বাসিন্দা, ঝালি বাউড়ি ও ১২ বছরের প্রীতি সিংয়ের বাড়ি রামকৃষ্ণডাঙায়। পদপিষ্টের ঘটনায় ৮ জন আহত হন। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরসভার প্রায় ৫টি ওয়ার্ড থেকে লোক এসেছিল। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। উদ্যোক্তাদের তরফে ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় সকলেই শুভেন্দুর সঙ্গে সভাস্থল ছাড়েন। কম্বল বিলি দেখভালের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও ভিড়ের চাপে দিশাহারা হয়ে পড়েন। 


শুভেন্দুর অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩জনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ বিজেপি যুব মোর্চার নেতাকে (BJP Leader) গ্রেফতার করল পুলিশ। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তিওয়ারি-সহ ১০জনের বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআর। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। অনুষ্ঠানের উদ্য়োক্তা ছিলেন আসানসোল পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। সভায় উপস্থিত ছিলেন চৈতালির স্বামী, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও।