মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে সিটু অফিসে বাংলা সিনেমার শ্যুটিং। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বামেদের শ্রমিক সংগঠনকে একযোগে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে সিপিএম।


সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের ইউনিয়ন অফিসে বাংলা সিনেমার শ্যুটিং। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে শিল্পশহর পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। কয়লা খাদানের উপর ভিত্তি করে সিনেমা তৈরি হচ্ছে বাংলায়। তারই অংশ হিসেবে, গত বুধবার শ্যুটিং হয় সিটুর এই অফিসে।


সিনেমার দৃশ্যে একটি থানা হিসেবে ব্যবহার করা হয় বাম শ্রমিক সংগঠনের অফিসটিকে। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।


তৃণমূল থেকে বিজেপি, দু’দলেরই কটাক্ষ, সিপিএমের এতই দুরবস্থা যে, এখন তাদের শ্রমিক সংগঠনের অফিস ভাড়া দিতে হচ্ছে।পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় ও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই সিপিএমকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।


বিড়ম্বনায় পড়ে সিপিএম নেতৃত্বের সাফাই, জেলা নেতৃত্বের অজ্ঞাতেই সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে। দুর্গাপুরের সিটু নেতা স্বপন মজুমদার বলেছেন, এখানে এমনই শ্যুটিং হয়েছে, কোনও টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি।


 সব মিলিয়ে একদা বামেদের অন্যতম দুর্গে, সিটু অফিসে সিনেমার শ্যুটিং ঘিরে সরগরম শিল্পাঞ্চল।


উল্লেখ্য, এর আগে বাম দলের পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল। বছর তিনেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বামফ্রন্টের শরিক দল সিপিআই তাদের মোহনপুরে অফিস ভাড়া  দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। তার আগে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পুর এলাকার লজপাড়ায় সিপিএমের পার্টি অফিস লিজে দেওয়ার কথা সামনে এসেছিল। 


দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সিপিএমের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল।  কিন্তু ২০১১-তে বাম জমানার পতন হয়। তারপর থেকে দুর্গাপুরে বামেদের শক্তিক্ষয় হতে থাকে। বিভিন্ন ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, এখন সেই আগের আধিপত্য বামগুলির নেই এই শিল্পাঞ্চলে। এরইমধ্যে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের অফিসে সিনেমার শ্যুটিং ঘিরে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।