মুম্বই: মাঠে তিনি ছিলেন কিংবদন্তি। মাঠের বাইরেও তাঁর ক্রিকেট প্রজ্ঞাকে কুর্নিশ করে গোটা বিশ্ব। কেন, তা বুঝিয়ে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। বিশেষ কোনও ব্যাটসম্যানের টেকনিক্যাল খামতি এবং কোনও বোলারের সম্ভাব্য গেমপ্ল্যান নিয়ে তেন্ডুলকরের মতো এমন নির্ভুল মন্তব্য খুব কম বিশেষজ্ঞকেই করতে দেখা গিয়েছে।
পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে সচিন সোশ্যাল মিডিয়ার এক ভিডিওবার্তায় ফিঞ্চ ও শাহিন আফ্রিদির দ্বৈরথ নিয়ে নিজের মতামত জানান। ফিঞ্চের দুর্বলতা ও শাহিন আফ্রিদির সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে পূর্বাভাস করেন সচিন। ম্যাচে দেখা যায়, মাস্টার ব্লাস্টারের সেই ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু মিলে গিয়েছে।
সচিন জানিয়েছিলেন, আফ্রিদি কীভাবে আউট করতে পারেন ফিঞ্চকে। ক্রিকেটপ্রেমীরা হতবাক, সেমিফাইনালে তেন্ডুলকরের কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। ঠিক যেভাবে সচিন বর্ণনা করেছিলেন, ফিঞ্চকে হুবহু সেভাবেই আউট করেন শাহিন আফ্রিদি। ইনস্টাগ্রামে তেন্ডুলকর বলেন, ‘আমি ফিঞ্চ ও আফ্রিদির মধ্যে দ্বৈরথ দেখতে পছন্দ করব। আমার মনে হয় ফিঞ্চ যদি শুরুতেই অ্যাক্রস দ্য লাইন খেলতে চায়, তবে আফ্রিদি ওকে হয় বোল্ড না হয় এলবিডব্লিউ আউট করবে।’ ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফিঞ্চ আফ্রিদির বলে অ্যাক্রস দ্য লাইন খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ আউট হন।
দুরন্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। কিন্তু এরই মাঝে মহম্মদ রিজওয়ানের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কাহিনি মন জয় করে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ম্যাচ হারলেও অজিদের বিরুদ্ধে ৫২ বলে ৬৭ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু জানা গিয়েছে, তার আগে ২ দিন আইসিইউতে ছিলেন এই পাক উইকেট কিপার ব্যাটার।
ম্যাচের আগেই খবর ছড়িয়েছিল যে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত রিজওয়ান। তবে ম্যাচের আগে কেউ জানতেন না যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ম্যাথু হেডেন ম্যাচের মধ্যে এই খবর নিজে দেন। ২৪ ঘণ্টা আগে ফুসফুসে সংক্রমণের দরুণ রিজওয়ান আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন৷ কিন্তু তারপরেও তিনি সেমিফাইনালে খেলতে নামেন এবং অর্ধশতরানও করেন। দেশের প্রতি রিজওয়ানের এই দায়বদ্ধতার বিষয় জানার পরই প্রশংসার ঝড় উঠেছে চারিদিকে। প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারও রিজওয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।