অমিত জানা, বেলদা (পশ্চিম মেদিনীপুর) : পশ্চিম মেদিনীপুরে এবার জলমগ্ন অবস্থা কাটতে না কাটতেই ডেঙ্গি আতঙ্ক । পরিদর্শনে স্বাস্থ্য দফতরের টিম।
করোনা সংক্রমণ আর ভাইরাল জ্বরের মধ্যেই জেলায় মাথাচাড়া দিল ডেঙ্গি আতঙ্ক ! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার চেঙুটিয়া গ্রামে ১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। এর মধ্যে, কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছেন যথাক্রমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের ১১ নম্বর মান্ন্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেঙুটিয়া গ্রাম। অতিবৃষ্টি কাটতে না কাটতেই ডেঙ্গি গ্রাস করেছে গোটা গ্রামকে। বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামবাসীর একাংশ জ্বরে ভুগছিলেন। তারপর রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, ডেঙ্গি হয়েছে। আর এই রিপোর্ট হাতে আসার পর নড়েচড়ে বসে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। এদিন মেডিক্যাল টিম গ্রামে পৌঁছে বাড়ি বাড়ি সচেতনতার পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সুবিধা এবং অসুবিধার কথা শোনে।
আরও পড়ুন ; ৯টি ওয়ার্ডে বেড়েছে প্রকোপ, কলকাতায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি
এলাকার জমা জল থেকে শুরু করে নিকাশি নালার জমা জলে মশার লার্ভা সৃষ্টি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। গোটা গ্রামে মশা মারার জন্য ব্লিচিং পাউডারের পাশাপাশি ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আশা কর্মী থেকে মেডিক্যাল টিম এই গ্রামে প্রত্যেকদিন কাজ করবে বলে জানা গেছে। আজ থেকে গ্রামবাসীর জ্বর বা কিছু থাকলে তাঁদের রক্ত পরীক্ষার করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার আশিস কুমার মণ্ডল।
এদিকে করোনার মধ্যেই কলকাতাতেও চিন্তা বাড়িয়েছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সাত নম্বর বরোর ৯টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, তিন বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছর থেকে আবার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠাতে শুরু করেছে রাজ্য।