অমিত জানা, নারায়ণগড় : পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকে হামলা হাতির পালের। গতকাল গভীর রাতে প্রায় ৩০টি হাতির পাল ঢুকে পড়ে নারায়ণগড় থানার সাত নম্বর কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে এক নম্বর মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায়।


স্থানীয় বাসিন্দা ও বন দফতরের কর্মীরা সারারাত মশাল জ্বেলে হাতির পালকে তাড়ায় । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতির এই দলটি বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রামবাসী সারারাত জেগে মশাল জ্বেলে, হুলা পার্টিকে সাথে নিয়ে হাতির দলটিকে এলাকাছাড়া করে রাতে।


দিনকয়েক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের (Kharagpur) আমলাচাটি ও শ্যামসুন্দরপুর পালপাড়া গ্রামে রাতভর তাণ্ডব চালায় ৩০-৩৫টি বুনো হাতির (Elephant) দল। লণ্ডভণ্ড করে বাড়িঘর (House)। নষ্ট করে ফসল (Crops)। গ্রামবাসী (Villagers) অভিযোগ জানায়, বারবার ফোন করলেও বন দফতরের (Forest Department) সাড়া মেলেনি। বন দফতর (Forest Department) সূত্রে খবর, যাঁদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের সাহায্য করা হবে।


দক্ষযজ্ঞ পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাতে মশাল (Torch)। বিভিন্ন জায়গায় জ্বালানো হয় আগুন (Fire)। ফাটানো হয় একের পর এক পটকা। গত শুক্রবার রাতভর খড়গপুরের (Kharagpur) আমলাচাটি (Amlachati) ও শ্যামসুন্দরপুর (Shyamsundarpur) পালপাড়া গ্রামে তাণ্ডব চালায় ৩০-৩৫টি বুনো হাতির (Elephant) দল। অনেক দূর থেকে একটা বাড়ির সামনে হাতি দাঁড়িয়ে। হাতির তাণ্ডবে চুরমার হয়ে যায় দুটি গ্রামের আট আটটি বসতবাড়ি। বাড়িতে মজুত ফসল নষ্ট করে দেয় বুনো হাতির দল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বারবার ফরেস্ট রেঞ্জ (Forest Range) কর্মীদের ফোন করলেও কোনও সাড়া মেলেনি। শেষমেশ রাতভর মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে নামেন নিজেরাই।


আরও পড়ুন ; গ্রামে ঢুকে পড়ল দাঁতাল হাতি, আতঙ্ক বাড়ছে ঝালদায়


সম্প্রতি দাঁতাল হাতির দাপাদাপিতে চাঞ্চল্য ছড়ায় পুরুলিয়ার ঝালদায়। শহর লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি দলছুট হাতি। গত সোমবার সন্ধ্যার সময় জঙ্গল থেকে ঝালদা থানা এলাকার পাটঝালদা গ্রামে ঢুকে পড়ে এই দাঁতালটি। বন বিভাগের কর্মীরা তাকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। এরপর দাঁতালটি ঝালদা লাগোয়া দারদা গ্রামের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। হাতির ভয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা গ্রামে।