অমিত জানা, কেশিয়াড়ি: ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রাণে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্যু হল ভাসুরের। জখম হয়েছেন ওই পরিবারের আরও দুই মহিলা সহ তিনজন। বুধবার দুপুরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) কেশিয়াড়ি (Keshiary) থানার অন্তর্গত এলাসাই গ্রামে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বাড়ির ভেতরে বেড়া দেওয়া লোহার সরু তারে ভিজে কাপড় শুকোতে গিয়ে বিদ্যুতের শক লাগে ভাইর স্ত্রী রিনা দাসের। আচমকা শক খেয়ে চিৎকার করে ওঠেন তিনি।  পাশের ঘর থেকে ভাইয়ের বউয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তাঁর বড় ভাসুর মানিক দাস। এসে বৌমাকে বাঁচাতে পারলেও তিনি বিদ্যুতের শক খেয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন এর জেরেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়।  মানিক দাসকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন। কিন্তু, এসে মানিক দাসের শরীরে স্পর্শ করতেই বাড়ির বাকি সদস্যরাও কারেন্টের শক খান। 


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে শুভেন্দুর সভায় অনুমতি দিয়েও প্রত্যাহার! পুলিশকে নিশানা শুভেন্দুর


তাঁদের সবার চিৎকারে ছুটে আসেন ওই এলাকায় থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ওই পরিবারের সকলকে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। জখম হওয়া চারজনের মধ্যে দুজন মহিলা ও এক ভাই সুস্থ থাকলেও মানিক দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি আরও তিনজন সদস্যর চিকিৎসা কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে করা হলেও তাঁদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এদিকে আচমকা এই ঘটনা জেরে শোকের  ছায়া নেমে এসেছে এলাসাই গ্রামে। এই দুর্ঘটনার পর বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহ সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই পরিবারের প্রতিবেশীদের। কীভাবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল তা জানার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য গ্রামবাসীদের সচেতন করার কাজ চলছে।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: গোপনে ভোট চালাচালির সিদ্ধান্ত? BJP-CPM 'যোগসাজশ' নিয়ে সরব হলেন মমতা