বিশ্বজিৎ দাস ও অলোক সাঁতরা, পিংলা : পিংলায় (Pingla) ফের ধর্ষণের অভিযোগ। এবার এক গৃহবধূকে (Housewife) ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। আজ সকালে বাড়ির কাছেই মাঠের মধ্যে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ করেছেন মৃতার স্বামী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোটা রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ। হাঁসখালি, কাকদ্বীপ, ময়নাগুড়ি থেকে ধানতলা। একের পর এক নির্যাতনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা। এই পরিস্থিতিতে, ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন ; ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার, ফোনে হুমকি নির্যাতিতার পরিবারকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
মৃতার পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই গৃহবধূ। রাতভর খোঁজাখুজির পরও তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। বুধবার সকালে, বাড়ির কাছেই মাঠের মধ্যে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
দিনকয়েক আগেই পিংলায় (Pingla) বিশেষভাবে সক্ষম এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হয় স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। এর পাশাপাশি মেদিনীপুর আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেন নির্যাতিতা।
পরিবার সূত্রে খবর, দিদির বাড়িতে এসেছিলেন বিশেষভাবে সক্ষম ওই মহিলা। অভিযোগ, রাতে বাসন ধোয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বের হলে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য।
এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর পক্ষ থেকে এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। পুলিশ মিছিল আটকালে বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
এদিকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর থেকেই লাগাতার হুমকি আসছে বলে অভিযোগ জানান নির্যাতনের শিকার মহিলার মা। তিনি জানান, তাঁর ছেলেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। ওই পরিবারকে বাড়িছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তাদের দাবি, এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আইন আইনের পথে চলবে।