অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: মিড ডে মিলে নিম্নমানের আলু সরবরাহ করার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের প্রত্যেকটি স্কুলে। অভিযোগ প্রত্যেক বস্তায় খুব কম করে হলেও কুড়ি কেজিরও বেশি আলু পচা বেরোচ্ছে। এর ফলে যথারীতি সমস্যায় পড়েছেন স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকেরা। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের একাধিক স্কুলের শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ জানালেন নারায়ণগড়ের বিডিওর কাছে। কেউ কেউ আবার মেল করেও অভিযোগ পাঠালেন বিডিওর কাছে। নহপাড় বিদ্য়াসাগর বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষক উৎপল কান্তি দত্ত জানান, 'এবার অগাস্ট মাসে যে মিড ডে মিলের আলু এসেছিল তার ৮ ক্যুইন্টাল আলুর মধ্যে প্রায় ৩০ কেজি আলুই পচা বেরিয়েছে। পড়ুয়াদের খাওয়ানোর জন্য যে পরিমাণ আলু কম পড়েছিল তা আমরা কিনে নিয়েছি স্কুল ফান্ডের টাকা থেকে। নারায়ণগড়ের বিডিওর কাছে আমরা লিখিত অভিযোগও জানিয়েছি।' তাঁর দাবি, আগে তাঁরা নিজেরাই আলু কিনে নিতেন, তখন কোনও সমস্যা হত না। কিন্তু এখন আলু পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। তাঁর দাবি কখনও সেই আলু বহুদিন গোডাউনে পড়ে থাকে বা হয়তো খারাপ আলুই কেনা হয়। উৎপল বাবু আরও দাবি, তাঁদের যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে সেখানে মিড ডে মিলে একাধিক স্কুলেই খারাপ আলু দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি উঠেছে। 


জেলা মিড ডে মিলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মোনালিসা তিরকে জানাচ্ছেন, 'যখন এজেন্সি আলু সরবরাহ করছে বা খাদ্যদ্রব্য গোডাউনে আনলোডিংয়ের সময়ে বিডিওর প্রতিনিধি থাকেন। সেখান থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। আমরা এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। জিনিস খারাপ বেরোলে এজেন্সি প্রত্যেকবারই তা পাল্টে দিচ্ছে। এবারও অভিযোগ আসতেই এজেন্সিকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের বক্তব্য যে তারা ভাল আলুই দিয়েছিল।' তাঁর দাবি, আলু যখন আনলোড করা হচ্ছিল তখন যে তিন প্রতিনিধি ছিলেন তাঁদের কাছেও কোনও অভিযোগ আসেনি। কিন্তু আলু সরবরাহের চার থেকে পাঁচ দিন পর অভিযোগ আসছে বলে দাবি তাঁর। তবে নারায়ণগড় থেকে কোনও অভিযোগ তাঁরা এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। জিনিসপত্র আনলোড করার সময়েই সমস্যা দেখা দিলে তখন এজেন্সিতে বদলে দেওয়ার কথা হয় বলে জানান জেলা মিড ডে মিলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মোনালিসা তিরকে।