অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ২০০ বছরের পুরনো দুর্গামন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটল। শীত পড়তে না পড়তেই একই রাত্রে পাশাপাশি দুটি মন্দিরে চুরি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকায়। জানা গেছে খটনগর গ্রামে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো পঞ্চদুর্গামন্দিরে রবিবার ভোর রাতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা দেখতে পান মন্দিরের তালা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মন্দিরের দরজা খুলে তাঁরা দেখেন দুর্গা মায়ের মাথার মুকুট সহ একাধিক গয়না চুরি গিয়েছে। যার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। একই সঙ্গে পাশের রানীপুর গ্রামে একটি জগন্নাথ দেবের মন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার গহনা ও প্রণামী বাক্স খোয়া গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এলাকার স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক পুলিশদের টহলদারী না থাকার কারণে এইভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে দুটি মন্দিরে তদন্তে আসে বেলদা থানার পুলিশ। একই দিনে পরপর পাশাপাশি দুটি গ্রামে মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Continues below advertisement

এদিকে, করোনা আবহে প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর রাজ্যে আজ থেকে চাকা গড়াল লোকাল ট্রেনের। আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য। লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলার পাশাপাশি, জোর দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজেশনে। যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ববিধি বজায় রাখতে দু’টি আসনের মধ্যে ক্রস চিহ্নের স্টিকার লাগানো হয়েছে। 

এছাড়া, যাত্রীদের মধ্যে সতর্কতামূলক প্রচার চালাবে রেল কর্তৃপক্ষ। থাকছে নজরদারি। সরকারি-বেসরকারি, অধিকাংশ অফিস খুলে গেলেও, লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় গত ৬ মাসে হয়রানির শিকার হতে হয়েছেন যাত্রীদের একটা বড় অংশ। আজ থেকে ট্রেন চালু হওয়ার খবরে তাঁরা খুশি।

Continues below advertisement

প্রায় ৬ মাস পর লোকাল ট্রেন চালানোয় গ্রিন সিগনাল দিয়েছে নবান্ন। শুক্রবার নবান্নর তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, রাজ্য সরকারের কোভিড বিধি-নিষেধ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে। তারপর সেসব ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে, মোট আসনের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রাজ্যের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু করা যেতে পারে।  রাজ্য সরকারের অনুরোধেই এরাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ ছিল। এবার রাজ্য গ্রিন সিগনাল দিয়ে দেওয়ায় আজ থেকেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে গেছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ৫ মে লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে দু’সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হয়।