সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিল হয়েছে ঘাটাল। সেখানে জলমগ্ন এলাকা। সেই জলমগ্ন এলাকাতেই এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হল। জানা যায় ঘাটালের ইরপালা জয়কুণ্ডু এলাকা থেকে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের নাম তপন পাত্র। তাঁর বয়স ৫৬ বছর। ঘাটাল থানার পুলিশ এই মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর তিনদিন আগে থেকেই তপনবাবু নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার দুপুরে তপন বাবুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে  বন্যার জল থেকে উদ্ধার হয় তপনবাবুর মৃতদেহ। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ঘাটাল থানা যৌথভাবে বন্যার জলে মৃতদেহ উদ্ধার করে  বোটে করে নিয়ে আসে ঘাটাল মর্গে। পুলিশ সূত্রে খবর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে। 


গতকালই ঘাটালে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডক্টর মানষরঞ্জন ভুঁইয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী, সাংসদ প্রতিনিধি রাম পদ মান্না, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বিকাশ কর, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই। আজ বিকেল চারটে নাগাদ ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে আসেন জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডক্টর মানুষ রঞ্জন ভূঁইয়া। ঘাটালের দু'নম্বর চাথাল থেকে বোডে করে ঘাটাল ব্লকের অজবনগর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। ওই এলাকার মানুষজনের সমস্যার কথা শোনেন, অজবনগর এলাকার বেশ কিছু পরিবারের হাতে তুলে দেন ত্রাণ সামগ্রিক।


ফের বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটাল-চন্দ্রকোণা। ৩ মাসে এই নিয়ে ৪ বার। শনিবার সকাল থেকে শিলাবতী কিছুটা শান্ত। কমছে জলস্তর। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনার প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি!


প্লাবন-বিধ্বস্ত চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা গ্রামের এই কাঠের সেতুর বেহাল দশা।সেতু ভাঙলে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তাই দিনরাত এক করে সেতু রক্ষায় নেমেছেন গ্রামবাসীরা। শিলাবতী ও কেঠিয়ার জলে প্লাবিত চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ১,ভগবন্তপুর ২ ও বসনজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত।বানভাসি দশা চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের  মনোহরপুর ১, মনোহরপুর ২ ও মানিককুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত।